Coronavirus: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু, খাস কলকাতায় আবার বাড়ছে আতঙ্ক

করোনাভাইরাসের উপদ্রব কি আবার শুরু হয়েছে বাংলায়? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে গোটা রাজ্যে। কারণ‌ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে খাস কলকাতায়। তিন মাস আগেও এমন খবর বাংলায় ছিল না। ২০২৩ সালে প্রথম করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছিল গত ২৫ মার্চ। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এল। আর তাতেই আতঙ্ক বাড়তে শুরু করেছে কলকাতা–সহ গোটা বাংলায়।

ঠিক কী ঘটেছে কলকাতায়?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, রিজেন্ট পার্ক এলাকার বাসিন্দা ভাস্কর দাস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কয়েকদিন আগে তিনি উত্তরবঙ্গ বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাঁকে বাঘাযতীন এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ আসে। আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। ৭৬ বছর বয়সের বৃদ্ধের মৃত্যুর শংসাপত্রে কোভিড নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছে হাসপাতাল।

পরিস্থিতি এখন কোথায় দাঁড়িয়ে?‌ হঠাৎই আবার করোনাভাইরাসের দাপট দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত বঙ্গে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। মঙ্গলবার সব থেকে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দেখা গিয়েছে খাস কলকাতাতেই। সেই সংখ্যাটা ১৭ জন। এখনও পর্যন্ত অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩৭০ জন। সূত্রের খবর, কলকাতায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। কলকাতায় এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তাই মাস্ক পরতে মানুষজনকে দেখা যাচ্ছে। এমনকী অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যেও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানান, আগামী ১০ দিন সংক্রমণ বাড়বে। তার পরে সেটা কমতে শুরু করবে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, এখন দেশের নাগরিকদের মধ্যে টিকা নেওয়ার হার অত্যন্ত কমে গিয়েছে। টিকা দেওয়ার হারও তাই কমে যাওয়ায় রাজ্যগুলিও কেন্দ্রের থেকে টিকা চাইছে না। প্রবীণ নাগরিকদের এবং অনেকদিন ধরে কোনও অসুখে ভুগছেন তাঁদের তৃতীয় ডোজের টিকা (‌বুস্টার)‌ নেওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বলেন, ‘‌টিকা চাওয়া অনেক কমে গিয়েছে রাজ্যগুলির পক্ষ থেকে। তাই কেন্দ্রও টিকা সংগ্রহ কমিয়ে দিয়েছে। দেশে যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে আগামী আট থেকে দশ দিন সংক্রমণ বাড়বে। তার পর তা কমতে শুরু করবে।’‌