CV Ananda Bose: এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটে রাজ্যপাল, বিক্ষোভ দেখাল এসএফআই

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একইদিনে পর পর দু’‌বার সারপ্রাইজ ভিজিট করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন রাজ্যপাল। আজ, বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বড়লাট প্রবেশ করতেই তাঁর সামনে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র সংগঠন এসএফআই সদস্যরা। তাতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পূর্ব নির্ধারিত সূচি ছাড়াই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছেই সোজা ভিতরে ঢুকে যান। সেখানে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল।

ঠিক কী হল প্রেসিডেন্সিতে?‌ সূত্রের খবর, শিক্ষার পরিকাঠামো এবং শিক্ষার পরিস্থিতি সংক্রান্ত একাধিক বিষয় বৈঠকে উঠে আসে। দীর্ঘক্ষণ চলে এই বৈঠক। পরে একাধিক ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখান থেকে কিছু তথ্য জোগাড় করেন। আসলে রাজ্যপাল কিছু খুঁজছেন। যা তিনি পাচ্ছেন না। তাই নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটে যাচ্ছেন। তবে সেটি কি তা জানা যায়নি।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ আজ আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এসএফআই। রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি তোলেন তাঁরা। এমনকী স্লোগান দেওয়া হয়। জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। এই অপ্রীতিকর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যপালকে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সরাসরি উপাচার্যদের সাপ্তাহিক রিপোর্ট জমা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। যা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হয়। তারপর থেকেই রাজ্যপালকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শন করতে দেখা যাচ্ছে। শিক্ষা দফতরের দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম তখন রাজ্যপালের এই ঝটিকা সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ শিক্ষা দফতর নিয়ে তিনি একটি রিপোর্ট তৈরি করছেন। যা কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তাই এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শন করছেন তিনি বলে সূত্রের খবর। যদিও রাজভবনের দু’‌পক্ষের বৈঠকের পর ঘোষণা করা হয়েছিল, নবান্ন–রাজভবন–বিকাশ ভবন সমন্বয় রক্ষা করে একসঙ্গে কাজ করবে। তারপরই তাল কেটে গিয়েছে। তবে সংঘাতের পরিবেশ থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে কিনা এখন সেটাই দেখার।