SSC Recruitment: এখনই নবম-দশমে চাকরি বাতিল হচ্ছে না, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

আপাতত চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না। নবম দশমে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম দশমের ৮৪২জন শিক্ষাকর্মী ও ৯৫২জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। তবে এবার সেই নির্দেশ কার্যত ধাক্কা খেল সুপ্রিমকোর্টে।  বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আগামী ২৬ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার আগে শিক্ষক বা শিক্ষা কর্মী সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কোনও নিয়োগের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চে এই শুনানি ছিল। 

এদিকে মামলাকারীদের আইনজীবীদের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ওই চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের এখনই চাকরি যাচ্ছে না। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন চাকরি হারারা। আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিয়োগে যে একটা কেলেঙ্কারি রয়েছে তা শীর্ষ আদালত মেনে নিয়েছে। তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে মামলাকারীরা মনে করছেন এই চাকরি বাতিলের ক্ষেত্রে কিছু পদ্ধতিগত ভুল থাকতে পারে।

তবে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কার্যত ভেঙে পড়েছিলেন একাধিক চাকুরিরত। ঘুরপথে তারা চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এভাবে চাকরি যাওয়া নিয়ে শাসকদলের একাধিক নেতা নেত্রী প্রকাশ্যেই সরব হতে শুরু করেছিলেন। এদিকে চাকরি ফিরে পেতে ও সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন চাকরি হারারা। তবে সেখানে আপাতত কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন তারা। 

এদিকে ওএমআর শিট বিকৃত করে তারা চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এর জেরে যারা প্রকৃত যোগ্য তারা তাদের হকের চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। এনিয়ে একের পর এক মামলা হয়। তবে এবার কিছুদিনের জন্য হলে চাকরি বাঁচাতে পারলেন চাকরিহারারা। তবে পরবর্তীতে গোটা বিষয়টি কোন দিকে যায় সেটাই দেখার।

এদিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসছে। তৃণমূলের তাবড় নেতাদের নাম এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবও বর্তমানে জেলে। দলের একাধিক শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ। কোটি কোটি দুর্নীতির কথা প্রকাশ্যে আসছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল কোটি কোটি টাকা। প্রশ্ন উঠছিল এগুলো কি সবই চাকরি চুরির টাকা?