যোগী রাজ্যে ৬ বছরে কতজনকে এনকাউন্টারে মেরে ফেলেছে পুলিশ? সংখ্যা শুনলে চমকে যাবেন

শুক্রবার উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে গত ৬ বছরে যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তারা সব মিলিয়ে ১৮৩জন অভিযুক্ত দুষ্কৃতীকে এনকাউন্টারে মেরে ফেলেছে। তার মধ্য়ে গ্যাংস্টার তথা রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ ও তার সঙ্গীরাও রয়েছে। ঝাঁসিতে গুলির লড়াইতে প্রাণ গেছে তারও।

ইউপি পুলিশের তথ্য বলছে, সব মিলিয়ে ১০,৯০০ পুলিশ এনকাউন্টার হয়েছে ২০১৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত। আদিত্যনাথ প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পরে এই এনকাউন্টারের সংখ্যার হিসাব দিয়েছে পুলিশ।

এই এনকাউ্ন্টারে ২৩০০০ অভিযুক্ত ক্রিমিনালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্য়ে ৫০৫৬জন জখম হয়েছিলেন। এই এনকাউন্টারে মোট ১৪৪৩জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছিলেন। মারা গিয়েছিলেন ১৩জন।

১৩জনের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছিল কানপুরের সেই অন্ধ গলিতে যেখানে বিকাশ দুবের সঙ্গীরা ঘিরে ফেলেছিল পুলিশকে। পরে দুবে পালানোর সময় পুলিশ তাকে গুলি করে মেরে ফেলে। উজ্জয়নী থেকে ইউপিতে আনার সময় সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। পুলিশ জানিয়েছিল দুবের গাড়ি উলটে গিয়েছিল। সে এক পুলিশ কর্মীর বন্দুক ছিনতাই করার চেষ্টা করেছিল।

স্পেশাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ প্রশান্ত কুমার পিটিআইকে জানিয়েছে, পুলিশ এনকাউন্টারে ১৮৩জন ক্রিমিনালের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৭ সালের ২০ মার্চ থেকে এই সংখ্যাটা।

তবে বিরোধীদের একাংশের দাবি, এই এনকাউন্টারের অধিকাংশই ভুয়ো। এনকাউন্টারের নাম করে একের পর এককে নিকেশ করে দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবিও তুলেছিলেন বিরোধীরা। তবে ইউপি সরকার ও পুলিশ বিরোধীদের তোলা এই ভুয়ো এনকাউন্টারের অভিযোগ মানতে চায়নি। সেই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল বিজেপি সরকারের আসার পরে ওই রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

এদিকে সমাজবাদী পার্টি এই এনকাউন্টার নিয়ে বিস্তারিত তদন্তের দাবি তুলেছিল। বহুজন সমাজ পার্টির পক্ষ থেকেও এনিয়ে তদন্তের দাবি করা হয়েছিল।আসাদ ও তার সঙ্গী গুলামকে ঝাঁসি থেকে গুলি করে মেরেছে পুলিশ।

আসাদ ও গুলাম উমেশ পালের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত তিনি হলেন বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী।চলতি ফেব্রুয়ারিতে উমেশ ও তার দুই নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।