CBI তল্লাশি চলাকালীন পাঁচিল টপকে বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা TMC বিধায়ক জীবনকৃষ্ণর

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই তল্লাশির মধ্যেই পাঁচিল টপকে বাড়ি থেকে পালাতে গেলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। শুক্রবার বিকেলে তিনি পাঁচিল টপকাতেই তাঁকে ধরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এর পর বাড়ির পিছনের আমবাগানে ও লাগোয়া পুকুরে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই। জানা গিয়েছে সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের আন্দিতে জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণর বাড়িতে তখন ছিলেন একাধিক জেলা পরিষদের সদস্য ও অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। তাদের সবার বাড়ি থেকে বেরনো নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করে সিবিআই। এর পর বাড়িতে শুরু হয় তল্লাশি। ওদিকে তল্লাশির খবরে সেখানে পৌঁছে যান সাংবাদিকরা। ততক্ষণে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

বেলা গড়িয়ে বিকেল হতে ঘটে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সিবিআই তল্লাশি চলাকালীনই পাঁচিল টপকে বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এর পর জীবনকৃষ্ণকে নিয়ে বাড়ির পিছনের আমবাগান ও পুকুরে তল্লাশি করেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, তল্লাশি চলাকালীন জানলা দিয়ে বাড়ির পিছনের আমবাগানে বেশ কিছু নথি ও একটি মোবাইল ফোন ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেই নথি ও ফোন উদ্ধারে তাঁকে আম বাগানে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। তখন বিধায়কের হাত শক্ত করে ধরে রাখতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।

ওদিকে দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা হলেও এখনও পর্যন্ত জীবনকৃষ্ সাহার বাড়িতে আটক রয়েছেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও নেতারা। বাইরে ভিড় করেছেন বহু তৃণমূল কর্মী। ওদিকে বাড়ির পাশের একটি ফটোকপির দোকান থেকে বেশ কয়েকটি নথি ফটোকপি করতে দেখা যায় সিবিআই আধিকারিকদের। সূত্রের খবর জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এব্যাপারে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি সিবিআই। ৯ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চলছে।