Amit Shah: ‘‌আপনার ভাইপো নয় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি থেকে হবে’‌, মমতাকে হুঙ্কার শাহের

সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই প্রেক্ষাপটে আজ, শুক্রবার বীরভূমের মাটি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঙ্কার দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে আশ্চর্যজনকভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি কেমন ফল করবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি। বরং লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি আগাগোড়া ভাষণ দিয়ে গেলেন। এই ভোকাল টনিকে কতটা কাজ হবে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কারণ বাংলা থেকে ৩৫টি লোকসভা আসন জেতার কথা বলেছেন। এটা খুব কঠিন লক্ষ্যমাত্রা। সেটা বিজেপি নেতারাও জানে। তবে এটা ঘটলেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি থেকে হবে বলে সুর চড়িয়েছেন শাহ।

এদিন সিউড়ির বেণীমাধব স্কুল মাঠের সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সরাসরি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে শাহ বলেন, ‘‌নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করতে হলে বাংলা থেকে ৩৫টি আসনে পদ্মফুল ফোটাতে হবে। আর সেটা হলেই ২০২৫ সালের মধ্যেই দেখবেন দিদির সরকার কাড়াড়াড়া ফুসসস হয়ে যাবে। বিধানসভায় বিজেপিকে ৭৭টি আসন জিতিয়ে দায়িত্ব বাড়িয়েছে বাংলা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সুকান্ত–শুভেন্দুর উল্লেখযোগ্য অবদান আছে। তৃণমূলের একের পর এক নেতা এখন জেলের গরাদের পিছনে।’‌ যদিও বিধানসভার বিধায়ক সংখ্যা এখন আর আগের মতো নেই। কারণ তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।

ঠিক কী চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শাহ?‌ কেন্দ্রীয় এজেন্সির বাড়াবাড়ি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রোজ মোদী–শাহকে তুলোধনা করে। আর সিউড়ির সভা থেকে অমিত শাহও যেন বুঝিয়ে দিলেন যতই তৃণমূল সরব হোক তদন্ত চলবে। তাই এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘পিসি–ভাইপো শুনে রাখুন, আপনারা যা ইচ্ছে করে নিতে পারেন। কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই থামবে না। চাকরি চুরি হচ্ছে। মোদীজি জেলে পাঠালেই বলে অত্যাচার হচ্ছে। ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী বানানোই একমাত্র লক্ষ্য মমতার। আপনার ভাইপো নয় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি থেকে হবে।’‌

ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস?‌ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চান। তার প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘‌অমিত শাহ যে আসন সংখ্যা বেঁধে দিয়েছেন সেটা শুনে হেস্টিংসের ঘোড়াও হাসবে। একুশের নির্বাচনের আগেও বাংলায় ২০০ আসন পাওয়ার আস্ফালন দেখিয়েছিলেন অমিত শাহরা। তারপর বাংলার মানুষ কাকে ফুসস করে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল সেটাও সবাই দেখেছে।’‌