Digha Seabeach: বৈশাখের শুরুতেই দিঘায় পর্যটকদের ঢল, তিনদিনে ব্যাপক ব্যবসা সৈকতনগরীতে

বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মদিন, পয়লা বৈশাখ আর তার পরের দিন রবিবার। এই তিনদিন হাতে পাওয়ায় ভ্রমণপিপাসু মানুষজন সমুদ্রসৈকতে ভিড় জমিয়েছেন। তাই বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই মানুষজন দিঘার উদ্দেশ্যে রওনা হন। শুক্রবার বাবাসাহেব আম্বেদকরের জন্মদিন ছিল। আজ, শনিবার বাংলা নববর্ষ এবং আগামীকাল, রবিবারও ছুটি। এমন সময়ে এই তিনদিনের ছুটি মিলেছে যখন বাংলা গ্রীষ্মের দাবদাহে রীতিমতো ফুটছে। তাই দিঘায় নেমেছে পর্যটকদের ঢল।

এই তিনদিনের উৎসব মুখর সময়ে দিঘায় পর্যটকদের ঢল নামায় হোটেলের ব্যবসা ভালই হয়েছে। এখন দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। গরমে জনগণের হাঁসফাঁস অবস্থা। সেখানে সমুদ্রসৈকতের পরিবেশ অনেকটা মনোরম। দিনের বেলা হোটেলে কাটালেও বিকেলে সমুদ্রতটে প্রাকৃতিক ঠাণ্ডা বাতাস গায়ে মেখে ঘুরে বেড়ানো যাচ্ছে। এই কারণেই ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিদের গন্তব্য সমুদ্রের তীর। আর সমুদ্র মানেই বাঙালিদের প্রথম পছন্দ দিঘা। একদিকে কাছাকাছি অন্যদিকে মনোরম পরিবেশ। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে এসে কয়েকদিন দিঘাতেই সময় কাটিয়ে ছিলেন।

কেমন সেজে উঠেছে দিঘা?‌ দিঘাকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। গত কয়েক বছরে দিঘা মোহময়ী রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘায় লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেছে। বাইরে থেকেও মানুষজন এখানে আসছেন। আর তাই দিঘার ব্র্যান্ডভ্যালু এখন আন্তর্জাতিক। দিঘাকে নিয়ে এখন নানা পরিকল্পনা গড়ে তোলা হয়েছে। এখন দিঘায় পুরীর আদলে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তাছাড়া মেরিন ড্রাইভ থেকে শুরু করে আকর্ষণীয় পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে সামান্য এন্ট্রি ফি দিয়েই ঢেউয়ের আনন্দ নেওয়া যায় রাত পর্যন্ত।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সাত কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে একাধিক বিশ্ববাংলা উদ্যান। পর্যটন সংক্রান্ত আকর্ষণীয় নানান শো•পিস এবং মডেল নিয়ে আসা হয়েছে। যা এখন পর্যটকদের নজর কাড়ছে। তারপর তো আছে ‘ঢেউসাগর’ পার্ক। যা দিঘার পর্যটনের গুরুত্ব অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর তাই রোজ কাতারে কাতারে পর্যটক ওই পার্কে ভিড় জমাচ্ছেন। এবার দিঘা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওল্ড দিঘার সি–বিচের নাম দিয়েছেন ‘ভোরসাগর’। সেই বিচও নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আর এই তিনদিন তাই সব হোটেলই বুক রয়েছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup