Ghee in Summer: প্রচণ্ড গরম। এই সময়ে ভাতের সঙ্গে ঘি খেলে কী হয়? ঘি খাওয়া কি এই সময়ে ঠিক কাজ? নাকি ক্ষতি হয় নাকি লাভ?
1/7গরম ভাতের সঙ্গে খাওয়ার জন্য ঘিয়ের কোনও তুলনা নেই। সকলেই জানেন, শুধু দারুণ স্বাদ নয়, ঘিয়ের অনেক উপকারিতাও রয়েছে। শীতকালে অনেকেই গরম ভাতের সঙ্গে তো বটেই রান্নাতেও দেদার ঘি ব্যবহার করেন। কিন্তু এখন বীভৎস গরম। দাবদাহ চলছে। এই সময়ে ঘি খাওয়া কি ঠিক হবে?2/7গরমকালে ঘি খেলে শরীরের উপর নানা ধরনের প্রভাব পড়ে। তার বেশির ভাগই অত্যন্ত ভালো। এমনই মত আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের। তাই গরমে ঘি খাওয়ার মধ্যে ভুল কিছু নেই। গরমে ঘি খেলে কী কী উপকার হয়? জেনে নিন এখান থেকে। 3/7ক্লান্তি কমায়: শরীরের শক্তি বাড়ানো এবং ক্লান্তি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। গরমের সময়ে আরও বেশি মাত্রায় ক্লান্তি গ্রাস করে। তাই এই সময়ে ঘি খাওয়া ভালো। মসুর ডাল বা তরকারিতে এক চামচ ঘি দিয়ে খেতেই পারেন। এতে বেশি উপকার পাবেন।
4/7রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে: ঘি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ঘি খাওয়ার ফলে নানা রকম সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হয়। ঘিয়ে নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। এগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গরমে নানা কারণে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যেতে পারে। তাই এই সময়ে ঘি খেলে উপকার পাওয়া যায়। 5/7জলশূন্যতা আটকাতে সাহায্য করে: গরমে ঘাম হয়ে শরীর শুকিয়ে যায়, শরীরে জলশূন্যতা দেখা দেয়। ঘি শরীরের ভিতরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে, গরমের সময় শরীরের জলের অভাব মেটায় ঘি। শুধু তাই নয়, ঘি খেলে ত্বকেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। ত্বক শুকিয়ে যাওয়া থেকেও রক্ষা পাওয়া যায় ঘি খেলে। 6/7হজম ক্ষমতা বাড়ে: খালি পেটে ঘি খেলে হজম ক্ষমতা বাড়ে। আয়ুর্বেদ বলছে, ঘি খাবার থেকে পুষ্টিগুণ সংগ্রহ করতে দারুণ কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে বিউটারিক অ্যাসিড অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। যে কোনও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমে যায়। ফলে এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও উপকারী।7/7শরীর ঠান্ডা থাকতে পারে: ঘি খাওয়ার ফলে শরীর ঠান্ডা থাকে বলেও মনে করেন অনেকে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, ঘি প্রদাহ হ্রাস করার পাশাপাশি শরীরকে শীতল রাখতে পারে। এই কারণে গরম কালে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা।
