Recruitment Scam: তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে চলল টানা ১০ ঘন্টা তল্লাশি, কী পেলেন সিবিআই অফিসাররা?‌

টানা ১০ ঘণ্টা ধরে সিবিআই অফিসাররা তল্লাশি চালালেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই অফিসাররা হানা দেন এই বিধায়কের বাড়িতে। মুর্শিদাবাদের আন্দিতে এই বিধায়কের বাড়ি। আর সেখানেই হানা দিয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা বলে সূত্রের খবর। বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে ১৫ জন গোয়েন্দা তল্লাশি চালান বলে সূত্রের খবর। তবে শুধু এখানেই নয়, মুর্শিদাবাদ–বীরভূমের ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালাল সিবিআই। কাকতালীয়ভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতকাল বীরভূমে সভা করেছেন।

এদিকে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়েকর বাড়ি, অফিস ছাড়াও আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই অফিসাররা। এখানেই বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ দাসের বাড়ি থেকে কতগুলি নথি মিলেছে। যা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ বলে মনে করছেন সিবিআই অফিসাররা। এমনকী তদন্তে নেমে এই বিধায়কের নাম তাঁদের হাতে আসে। বিভিন্ন জনের মুখে তৃণমূল বিধায়কের নাম ওঠার দাবি সিবিআই সূত্রে। তল্লাশি করে এখান থেকে প্রার্থীদের তালিকা, টাকা নেওয়ার নথি মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

অন্যদিকে বিধায়কের বাড়ির ভিতর–বাইরে ম্যারাথন তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে সঙ্গে নিয়েই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তল্লাশি করতে বাড়ির পিছনের জঙ্গলে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। এমনকী চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মোবাইল ফোন। যা বিধায়ক ফেলে দিয়েছিলেন। আর কেন তিনি মোবাইল ফেলে দিলেন?‌ তা নিয়ে চলে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। তবে তিনি সিবিআই অফিসারদের জানিয়েছেন, ভয় পেয়ে ফেলে দিয়েছিলেন। কোনও কিছু গোপন করতে নয়। তবে এই মোবাইল জলে পড়ে যাওয়ায় কতটা তদন্তে কাজে লাগবে তা নিয়ে সন্দিহান সিবিআই অফিসাররা।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই তদন্ত, অভিযান, হানা, তল্লাশি চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বীরভূমের মাটি থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত জারি থাকবে বলে হুঙ্কার ছেড়েছেন শাহ। তাঁর কথায়, ‘‌তৃণমূলের একের পর এক নেতা এখন জেলের গরাদের পিছনে। চাকরি চুরি হচ্ছে, মোদীজি জেলে পাঠালেই বলে অত্যাচার হচ্ছে। যারা দুর্নীতিগ্রস্ত তাদের তো জেলে পাঠাতেই হবে। দিদি আর ভাইপো আপনারা যা খুশি করে নিন, বিজেপির লড়াই থামবে না। বাংলার যুবকদের চাকরি নিয়ে দুর্নীতি করা চলবে না।’‌ তাই আগামী দিনে আরও এমন তল্লাশি অভিযান চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এভাবে হানা দিলে ভোটে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।