ওটিটি হয়ে দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘পাঠান’, দর্শক দেখবে তো!

নানা নাটকীয়তা আর দৌড়ঝাঁপের পর বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে হিন্দি সিনেমা। আগামী ৫ মে থেকে শুরু হচ্ছে এই অধ্যায়। আর শুরুটা হচ্ছে বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের ব্লকবাস্টার হিট ছবি ‘পাঠান’ দিয়ে। বাংলা ট্রিবিউনকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা-প্রযোজক অনন্য মামুন। তিনিই হিন্দি ছবি আমদানির মূল কাণ্ডারি।

মামুনের প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট আরও আগেই ‘পাঠান’ আমদানি করেছে। কিন্তু দেশের আইনি জটিলতায় সেটি মুক্তি দিতে পারেননি। এরপর বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় মন্ত্রণালয়, সিনেমা সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোতে বৈঠক হয়েছে। সবশেষে গত ১০ এপ্রিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে যে, সাফটাভুক্ত দেশ থেকে উপমহাদেশীয় ভাষায় নির্মিত ১০টি ছবি বছরে আমদানি করা যাবে।

সেই সুবাদে দেশের হলে ‘পাঠান’ মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যেহেতু সারা বিশ্ব ঘুরে ছবিটি গত ২২ মার্চ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। ফলে দেশের অনেকেই এটি দেখে ফেলেছেন। এরপরও টিকিট কেটে ছবিটি দেখবে তো?

প্রশ্নের উত্তরটা এভাবে দিলেন অনন্য মামুন, ‘মূল ব্যাপার হলো, বাংলাদেশের মানুষ শাহরুখ খানের ছবি হলে বসে দেখেনি। এই দেশে তার অসংখ্য ভক্ত আছে। তারা হলে বসে উল্লাস করে প্রিয় নায়কের ছবি দেখতে চায়। আর হলের মজা হলেই পাওয়া যায়। অনলাইন থেকে মোবাইলে ছবি দেখে সেই মজা তো পাওয়া যাবে না।’  

দেশে হিন্দি ছবি মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্তও মানতে হবে। যার একটি হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে ছবিটি দেখিয়ে ছাড়পত্র নেওয়া। এ প্রসঙ্গে অনন্য মামুন বললেন, ‘যেহেতু আমরা এনওসি পেয়ে গেছি। শিগগিরই সেন্সর ছাড়পত্রও পেয়ে যাবো আশা করি।’

হিন্দি ছবি মুক্তি দেয়ার ক্ষেত্রে একটি নতুন পন্থাও অবলম্বন করতে চলেছেন অনন্য মামুন। তা হলো ই-টিকেটিং। এ বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘দেশে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা নেই। কিন্তু আমি এটা নিয়ে কাজ করছি। অনেকখানি গুছিয়ে এনেছি। ব্যবস্থা হয়ে যাবে।’

কতগুলো প্রেক্ষাগৃহে ‘পাঠান’ মুক্তি পাবে, তা এখনও চূড়ান্ত নয় বলে জানালেন মামুন। ঈদের ছবিগুলোর হালহকিকত দেখে হললিস্ট তৈরি করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারি ভারতসহ বিশ্বের শতাধিক দেশে মুক্তি পায় ‘পাঠান’। সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত এই ছবির মাধ্যমে চার বছর পর বড় পর্দায় প্রত্যাবর্তন করেছেন শাহরুখ খান। এতে তার নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন। খলনায়কের ভূমিকায় জন আব্রাহাম। আর চমক হিসেবে অতিথি চরিত্রে রয়েছেন সালমান খান। বিশ্বব্যাপী ছবিটি ১ হাজার কোটি রুপির বেশি আয় করেছে।