Father of Atiq’s Murder Accused: ‘আমার ছেলে…’, বিস্ফোরক দাবি আতিক আহমেদ খুনে ধৃত লাভলেশের বাবার

মাফিয়া থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আতিক আহেমদকে খুনের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে মোট তিনজন। তাদের মধ্যে থেকে একজন হল লাভলেশ তিওয়ারি। এবার তাঁর বাবা যজ্ঞ তিওয়ারি নিজের ছেলেকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘লাভলেশ ওখানে কীভাবে পৌঁছল সেই বিষয়ে কোনও তথ্যই আমাদের কাছে নেই। ওর কাছে আমাদের কোনও মূল্য নেই। ও মাদকাশক্ত ছিল। আমরা তাঁর বিষয়ে খুব একটা কিছু জানি না।’ যজ্ঞ তিওয়ারি বলেন, ‘আমার ছেলে কিছু করে না। শুধু নেশা করে। মাদকাশক্ত ও। বাড়ির সবাইকে ওকে ত্যাগ করেছে।’ তিনি জানান, তাঁর ছেলে ইন্টারের পর বিএসসি ডিগ্রি পাওয়ার জন্য কলেজে ভরতি হয়েছিল, তবে পড়াশোনা শেষ না করেই কলেজ ছেড়ে দেয় সে। ছেলের উদ্দেশে কিছু বলতে চান কি না প্রশ্ন করা হলে যজ্ঞ তিওয়ারি বলেন, ‘কী আর বলব। এখানে বলার জন্য কী বা আছে।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অভিযুক্তর বাবা জানান, তিনি টিভি দেখে জানতে পারেন যে তাঁর ছেলে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। যজ্ঞ তিওয়ারি জানান, বহুদিন ধরেই বাড়িতে থাকে না লাভলেশ। সে প্রয়াগরাজে কতদিন ধরে থাকছিল, সেই বিষয়েও কোনও কিছু তাঁদের জানা নেই বলে দাবি করেন লাভলেশের বাবা। যজ্ঞ তিওয়ারি জানান, শেষবার প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাড়িতে এসেছিল লাভলেশ। তারপর থেকে আর নিজের ছেলেকে দেখেননি তিনি। যজ্ঞ তিওয়ারি আরও জানান, তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে নিগ্রহ করার মামলা চলছে আদালতে। রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে মহিলাকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ রয়েছে লাভলেশের বিরুদ্ধে। এই মামলায় জেলেও গিয়েছিল সে। আপাতত সে জামিনে মুক্ত ছিল।

রিপোর্ট অনুযায়ী, আতিককে গুলি করে খুন করার ঘটনায় ধৃতদের মধ্যে লাভলেশ ছাড়াও আছে সানি এবং অরুণ। প্রতক্ষদর্শীদের দাবি, আতিক ও আশরাফকে গুলি করার পর সানি, লাভলেশরা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান তুলেছিল। এদিকে আতিক ও আশরাফকে খুনের পরই সানি, অরুণ এবং লাভলেশকে ধরে ফেলে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গুলি চালনার ঘটনায় এক সাংবাদিকও আহত হয়েছেন। এদিকে পুলিশ এখনও এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কোনও বিবৃতি পেশ করেনি। পুলিশের তরফে শুধুমাত্র এটুকুই জানানো হয়েছে, এখনও অভিযুক্তদের জেরা করা হয়নি। জেরা করা হলে বিবৃতি জারি করে ঘটনা সম্পর্কে বিশদে জানাবে পুলিশ। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সানি, লাভলেশ এবং অরুণ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল।