Parking fees: অ্যাপের ব্যবহার শিকেয়! নগদেই শহরে মর্জি মতো নেওয়া হচ্ছে পার্কিং ফি

সম্প্রতি কলকাতা পুরসভা বর্ধিত পার্কিং ফি ফিরিয়ে নিয়েছে। পার্কিং এজেন্সিগুলোর দাবি, এর ফলে সমস্যা পড়েছে তারা। ফি আপডেট না হওয়ায় অ্যাপের মাধ্যামে তা নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে পার্কিং ফি নিতে হচ্ছে নগদে। গাড়ি চালকদের অভিযোগ, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছামতো পার্কিং ফি নেওয়া হচ্ছে নগদে।

কলকাতা পুরসভার ই নগদে পার্কিং ফি নেওয়াতে চরম আপত্তি। এই পরিস্থিতিতে পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুব শীঘ্রই পার্কিং ফি সংগ্রহের জন্য নতুন এজেন্সি নিয়োগ করতে ই-টেন্ডার ডাকবে। যারা শুধুমাত্রা ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা নেবে, সেই এজেন্সিকে ছাড়পত্র দেবে কলকাতা পুরসভা।

পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, সমস্ত পার্কিং এজেন্সিদের পিওএস মেশিন দেওয়া হয়েছে। তাদের ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ পার্কিং অ্যাটেডেন্ট এই পিওসি মেশিন ব্যবহার করে টাকা নেন না। নগদে পার্কিং ফি নেন।

গাড়ির চালকদের অভিযোগ, বর্ধিত পার্কি ফি তুলে নেওয়া হলেও বর্ধিত হারে টাকা নিচ্ছেন অ্যাটেডেন্টরা। সেই টাকা নিচ্ছেন নগদে।

রাসেল স্ট্রিটের এক পার্কিং অ্যাটেডেন্ট জানিয়েছেন, বর্ধিত পার্কি ফি তুলে নেওয়ার পর পিওএস মেশিনে তা ঠিক মতো দেখায় না। তাঁর কথায়,’আমরা যখন পিওএস মেশিনে আস্তে আস্তে সড়গড় হয়ে উঠেছি, তখন পার্কি ফি বাড়ল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে মেশনি ঠিক মতো ফি দেখাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা নগদে পার্কিং ফি নিচ্ছি।’

আরও এক পার্কিং অ্যাটেডেন্টের কথায়,’পিওএস মেশিনে অধিকাংশ সময় নেটওয়ার্ক থাকে না। ফলে পার্কিং ফি নিতে সমস্যা পড়তে হয়। তাই আমরা বাধ্য হয়ে নগদে টাকা নিয়ে থাকি।’

পুরসভা বলছে, যাই হোক না কেন পার্কিং এজেন্সিগুলিকে পিওএস মাধ্যমেই টাকা নিতে হবে। না হলে বাতিল করা হবে ও এজেন্সির দরপত্র। বর্তমানে পার্কিং এজেন্সিগুলিকে ৫০০ পিওএস মেশিন দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে আরও ৫০০ দেওয়া হবে এক পুরসভার আধিকারিক জানিয়েছেন।