দেড় যুগ পর নিয়মিত উৎপাদনে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক চুল্লি

ফিনল্যান্ডে ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক চুল্লি রবিবার নিয়মিত উৎপাদন শুরু করেছে। ওলকিলুওতো ৩ নামের পারমাণবিক চুল্লিটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। কিন্তু বিভিন্ন কারিগরি জটিলতায় এটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়নি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, চুল্লিটি বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর করার ফলে অঞ্চলটির বিদ্যুৎ নিরাপত্তা অনেকটাই সুরক্ষিত হবে। বিশেষ করে রাশিয়া গ্যাস ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করার পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এর ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে ইউরোপে পারমাণবিক বিদ্যুৎ বিতর্কিত। এমন সময় ফিনল্যান্ডের পারমাণবিক চুল্লির উৎপাদনে যাওয়ার খবর সামনে এলো যখন জার্মানি নিজেদের শেষ তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করেছে। একই সময়ে সুইডেন, ফ্রান্স ও ব্রিটেন এবং আরও কয়েকটি দেশ নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

চুল্লিটির পরিচালনাকারী সংস্থা টিভিও বলেছে, এই চুল্লি থেকে ফিনল্যান্ডের বিদ্যুতের চাহিদার ১৪ শতাংশ পূরণ হবে। এর ফলে সুইডেন ও নরওয়ে থেকে বিদ্যুতের আমদানি কমবে।

ধারণা করা হচ্ছে, নতুন চুল্লিটি অন্তত ৬০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।

২০০৫ সালে ফিনল্যান্ডের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে ১.৬ গিগাওয়াটের এই চুল্লির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চার বছর পর চুল্লিটির বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কারিগরি জটিলতায় তা পিছিয়ে যায়।  

গত বছর মার্চ মাসে চুল্লিটিতে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে পাঠানো হয়েছিল। ওই সময় চার মাস পর নিয়মিত উৎপাদনের প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। কিন্তু ত্রুটি দেখা দিলে তা মেরামতে কয়েক মাস সময় লেগে যায়।

গত বছর মে মাসে ফিনল্যান্ডে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। এর কিছু দিন পর রাশিয়ার গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রম ফিনল্যান্ডে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।