10 MLAs’ name revealed by Jiban Krishna: জীবনকৃষ্ণের থেকে ১০ বিধায়কের নাম পেল CBI, আরও বিপাকে পড়তে চলেছে তৃণমূল?

টানা তিনদিন ধরে চলা তল্লাশি শেষে আজই ভোরে গ্রেফতার হয়েছেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এই জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নথি। এদিকে বিধায়ক পুকুরে যে দু’টি ফোন ফেলেছিলেন, তার মধ্যে থেকে একটি উদ্ধার হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, সেই ফোনে কি কোনও ‘রাঘব বোয়ালের’ নাম ছিল, তাই তিনি সেটা ছুঁড়ে ফেলে দেন? এই জল্পনার মাঝেই এবার রিপোর্টে দাবি করা হল যে জীবনকৃষ্ণকে জেরা করে আরও ১০ জন বিধায়কের নাম জানতে পেরেছে সিবিআই। তবে এই ১০ বিধায়কের নাম এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। জীবনকৃষ্ণের ওপর কোনও ‘মাথা’ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে তাঁকে আরও জেরা করা হবে নিজাম প্যালেসে।

এদিকে এখনও পর্যন্ত যে ফোটনি পুকুর থেকে সিবিআই উদ্ধার করেছে, তা খোলা সম্ভব হয়নি। সেই ফোন খুললে আরও অনেক গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে আজই ফোনটিকে ফরেনসিক বিশেজ্ঞদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। এদিকে তল্লাশি চলাকালীন বিধায়কের বাড়ির কাছে উদ্ধার হয়েছে ৫ ব্যাগ ভরতি নথি। প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পাতার সেই নথি চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ নয়, অন্যান্য জেলার চাকরিপ্রার্থীদেরও নাম সেই তালিকায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে আজ ভোর সোয়া পাঁচটা নাগাদ জীবনকৃষ্ণকে আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তৃতীয় বিধায়ক হিসেবে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হলেন জীবনকৃষ্ণ। এরই মাঝে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিরারী অভিযোগ করেছিলেন যে শাসকদলের ১০০ জন বিধায়ক এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে। আর এবার জানা যাচ্ছে, জীবনকৃষ্ণের থেকে ১০ জন বিধায়কের নাম পেয়েছে সিবিআই।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ জীবনকৃষ্ণের বড়ঞার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে জেরা শুরু করেছিলেন সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। শুরু হয় তল্লাশি। এরই মাঝে বিকেল নাগাদ বিধায়ককে পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা করতে দেখা যায়। যদিও বাড়ির বাইরে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে ধরে ফেলেন। তবে বাড়ির পাশের পুকুরে জীবনকৃষ্ণ ছুঁড়ে ফেলেছিলেন নিজের দু’টি ফোন। পরবর্তীতে জেসিবি আনিয়ে এবং লোক নামিয়ে একটি ফোন উদ্ধার করে সিহিআই। তবে অপর ফোনটি পাওয় যায়নি বলে জানা গিয়েছে। তাছাড়াও বিধায়কের বাড়ি থেকে একাধিক কম্পিউটার, বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ, তিনটি নোটপ্যাড বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, অন্তত পক্ষে ৩ হাজার চাকরি প্রার্থী থেকে টাকা নিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। এই প্রার্থীদের থেকে ৬ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত টাকা নিয়েছিলেন তিনি। বিধায়ক একাই ৩০০ কোটি টাকার ওপরের দুর্নীতি করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।