একটা হিরের দিকে তাকালেই ধাঁধিয়ে যায় চোখ। তার মধ্যে আবার আরেকটা হিরে। হিরের মধ্যে থাকা হিরে রীতিমতো জ্বলজ্বল করে ধাঁধিয়ে দিচ্ছে চোখ। এমন হিরের খোঁজ পাওয়া লটারি লাগার থেকেও কঠিন দূরূহ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ভারতে তেমন হিরেরই খোঁজ মিলল এবার। বিরলের মধ্যেও বিরলতম হিরের খোঁজ পেল ভারতীয় উপমহাদেশে সুরাটের এক হিরে সংস্থা।
আরও পড়ুন: গরমে ঘন ঘন পেট খারাপের আশঙ্কা? কোন কোন খাবার খেলে ঝুঁকি কমবে জানেন
আরও পড়ুন: ভালোবাসার নামে দিন দিন কোণঠাসা করছে সঙ্গী? কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফার্ম বি ডি গ্লোবালই খোঁজ পেয়েছে এমন হিরের। তাঁরা এর মধ্যে নামকরণও করেছে ওই জ্বজলজ্বলে দামি রত্নের। ‘বিটিং হার্ট’ নামেই ডাকা হচ্ছে ওই হিরেকে। সংস্থার তরফে বলা হয়, একটি হিরের মধ্যে আটকে রয়েছি আরেকটি হিরে। শুধু তাই নয়, ভিতরে থাকা হিরেটি নিজের মতো এদিক ওদিক নড়াচড়াও করছিল। তাই একে বিরলের মধ্যেও বিরলতম অ্যাখ্যা দেওয়া হয়। কত ক্যারাটের এই হিরে? জানা যাচ্ছে, ০.৩২৯ ক্যারাটের এই হিরের খোঁজ মিলেছিল আসলে গত বছরেই। ২০২২ সালের অক্টোবরে সুরাট ও মুম্বাইয়ের হিরে ব্যবসায়ী প্রথম এই হিরের খোঁজ পান। ভারতীয় জেম ও জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলে প্রথম বিটিং হার্টকে নথিভুক্ত করা হয়। তখনই জানা যায় ২০১৯ সালে সাইবেরিয়ায় পাওয়া একটা হিরের সঙ্গে সাদৃশ্য আছে এই বিশেষ হিরের। সাইবেরিয়ায় পাওয়া ম্যাত্রোস্কা হিরের সমগোত্রের হিরে ভারতের এই হিরেটি।
আরও পড়ুন: ২১ দিন না আরও বেশি? নতুন অভ্যাস গড়তে সবার একই সময় লাগে? কী বলছে বিজ্ঞান
আরও পড়ুন: দাঁত তো মাজেন, কিন্তু কদিন পর পর ব্রাশ বদলাতে হয় জানেন? জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের মত
এই তথ্য জানাজানির পরেই সংস্থার তরফে হিরেটি ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন ডি বিয়ারসে পাঠানো হয়। সেখানে মেডেনহেডের সুবিধায় আরও খুঁটিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয় সেটি। ডিবিআরস গ্রুপের টেকনিক্যাল এডুকেটার সামান্থা সিবে জানান, গত ৩০ বছরে আমি তিনি বিটিং হার্টের মত কোন হিরে দেখেননি। ডি বিয়ারসে মূলত অপটিক্যাল ও ইলেকট্রনিক মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে হিরেটি খাঁটি কিনা তা দেখা হয়। তারপরেই নিশ্চিত হয় সংস্থা যে হিরেটি বিরলের মধ্যেও বিরলতম।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup