M K Stalin on Indus Valley civilization: হরপ্পা ও মহেঞ্জোদরোর নাগরিকদের পূর্বসরীরা দক্ষিণ ভারতে থাকতেন, দাবি স্ট্যালিনের

হরপ্পা ও মহেঞ্জোদরোর সভ্যতা আসলে দ্রাবিড়ীয় গোষ্ঠী অর্থাৎ দক্ষিণ ভারতের গোষ্ঠী থেকেই শুরু। সেখানের মানুষরা দ্রাবিড়ীয় ছিলেন বলেই দাবি করলেন তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। এর সপক্ষে যে প্রমাণ রয়েছে, সে কথাও তুলে ধরলেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর কথায়, ওই মানুষরা সবাই সঙ্গম যুগের কবিদের পূর্বপুরুষ ছিলেন! প্রসঙ্গত সঙ্গম যুগ তামিল সাহিত্যের অন্যতম স্বর্ণযুগ বলে বিবেচনা করা হয়। সেই যুগের কবিদের মধ্যে তোলাকা পিয়ার, ভাল্লুভার, এলানগোয়াদিগলরা বেশ জনপ্রিয়। সম্প্রতি একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে আসেন তামিলনাডুর মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মঞ্চ থেকে দর্শকদের উদ্দেশ্যে এই মন্তব্য করেন তিনি। 

শনিবার ‘ওরু পানপাত্তিন পায়ানাম: সিন্ধু মুধল ভাইগাই ভারাই’ বইটির প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বইতে হরপ্পা ও মহেঞ্জদরোর ইন্দাস উপত্যকা সভ্যতার সঙ্গে দ্রাবিড়দের ইতিহাসের মধ্যে একটি যোগসূত্র স্থাপন করা হয়েছে। আর সেটি নিয়েই এই দিন বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী । প্রাক্তন আইএএস অফিসার আর বালাকৃষ্ণনের বিখ্যাত বই ‘জার্নি অফ আ সিভিলাইজেশন: ফ্রম ইন্দাস ভ্যালি টু ভাইগাই’ বইটির অনুবাদ।

স্ট্যালিনের কথায় এই দিন উঠে আসে দ্রাবিড় আন্দোলনের কথা। তিনি বলেন, দ্রাবিড় আন্দোলনের কথা বলার সময় যখন সঙ্গম সাহিত্যের কথা উঠে আসে, তখন অনেকেই তার বিরোধিতা করেন। বলেন, সঙ্গম সাহিত্য শুধু সাহিত্য, কোনও আন্দোলন নয়। এবার প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ হাতে চলে এল। ফলে তাদের মোক্ষণ জবাব দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন স্ট্যালিন। রোজা মুথিয়া রিসার্চ লাইব্রেরির তত্ত্বাবধানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, চেন্নাই আন্না সেন্টেনারি লাইব্রেরিতে। বালাকৃষ্ণনের বইতেও আসলে ছিল স্ট্যালিনের কথাই। ইন্দাস উপত্যকার সভ্যতা গড়ে ওঠার পিছনে দ্রাবিড় জাতির ভূমিকাকে সেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
 এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup