Plants can scream study: গাছকে আঘাত করলে ওরাও আর্তনাদ করে! বলছে নতুন গবেষণা

চুপ থাকার দিন শেষ। দিন দিন এত অনাচার আর সওয়া যাচ্ছে না! এতদিন যারা চুপ ছিল, তারাও এবার ধৈর্য হারিয়ে গর্জে উঠবে। ভাবুন তো এমনটাই যদি সত্যি হয়। আমাদের রোজকার দেখা কোনও জিনিস, যা সাত চড়ে রা কাড়ে না, হঠাৎ চেঁচিয়ে ওঠে। আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়ে! নেহাত হাসি ঠাট্টার কথা নয় এটি। সত্যিই এমনটা হতে পারে। এ কথা বলছে বিজ্ঞানই। আমাদের চারপাশে থাকা গাছপালাই তেমনটা করতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় তেমন তথ্য উঠে এসেছে। 

বিখ্যাত বিজ্ঞান পত্রিকা ‘সেল’এ সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, ক্রমাগত জল না পেলে অতি উচ্চমাত্রায় চেঁচিয়ে উঠতে পারে গাছ। তবে কিনা সেই হুঙ্কারের ফ্রিকোয়েন্সি অনেকটাই বেশি। তাই মানুষের কানে তা শোনা মুশকিল। এছাড়াও ওই গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়, বায়ুবাহিত শব্দও গাছেরা করতে পারে। এই ধরনের শব্দ সাধারণত খরার সময় করে থাকে উদ্ভিদরা। এছাড়াও গাছ কাটা হলে সেই সময়েও আর্তনাদ করে ওঠে গাছ। 

পিটিআইয়ের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের  ওই গবেষক দল প্রমাণ দিয়েছেন গাছের চিৎকারের অস্তিত্ব। গবেষকদের কথায়, বিপদের সময় টম্যাটো ও তামাক গাছ শুধুই চিৎকার করে না, বরং এত জোরে চেঁচায় যে কীট পতঙ্গসহ অন্য প্রাণীরা তা শুনতে পায়।  গবেষকদের কথায় উদ্ভিদরা অন্যান্য প্রাণীদের মতো দৌড়াতে পারে বিপদ দেখলে। তাই চিৎকার করেই নিজের বিপদের কথা অন্যদের জানান দেয়।  গমনের ক্ষমতা নেই বলে উদ্ভিদ জাতির মধ্যে তৈরি হয়েছে এক জটিল জীবরাসায়নিক ব্যবস্থা। যার সাহায্যে অঙ্গ ছাঁটাইয়ের পরেও বেড়ে উঠতে পারে গাছ। আলো, পৃথিবীর টান, উষ্ণতা ইত্যাদির সাহায্য নিয়ে সহজেই বড় হতে পারে গাছ। আর সেই উপাদানগুলির সাহায্যেই গাছ সাড়া দেয় যেকোনও রকম বিপদের বিরুদ্ধে। এমনটাই জানা যাচ্ছে সাম্প্রতিকতম গবেষণায়। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup