সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে তির ছুঁড়েছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেদিনই বাঁকুড়ার সভা থেকে সেই তিরের পালটা জবাব দিলেন শুভেন্দু।
নাম না করে একেবারে সরাসরি আক্রমণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুভেন্দু বলেন, আপনার মতো অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য যদি গুন্ডামি করতে হয় তবে একবার নয়, এক হাজার বার করব।
নবান্ন থেকে ঠিক কী বলেছিলেন মমতা? তিনি বলেন, কার ইশারায় আমাদের লোকেদের রোজ এজেন্সি বিরক্ত করছে? অমিত শাহ যার ইশারায় চলছেন এখানে যে তাঁর মুখ্য উপদেষ্টা সে একটা বড় ডাকু। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি যা হয়েছে তার শুরুটা ওই করেছিল।
নাম না করে কার্যত শুভেন্দুকে নিশানা করে তোপ দাগেন মমতা। এদিকে বিগত দিনে তৃণমূলে থাকাকালীন মুর্শিদাবাদে দলের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় তিনি মুর্শিদাবাদ তৃণমূলকে শক্তিশালী করার কাজ করতেন। আর সেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। তবে কি সেই দুর্নীতির শুরুটা করেছিলেন শুভেন্দু? এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন মমতা!
এদিকে এর আগে বীরভূমের মিটিং থেকে শাহ জানিয়েছিলেন, ২৬ এর আগেই পড়ে যাবে বাংলার সরকার। এবার তানিয়েও পালটা দিলেন মমতা। তিনি বলেন, সংবিধান বিরোধী কথা বলছেন তিনি। তাঁর পদত্যাগ চাই।
এদিকে যে ওন্দাতে এর আগে মিটিং করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মিটিং করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁও ছিলেন। সেখানে শুভেন্দু বলেন, খুব বড় বড় কথা না! বলছেন অমিত শাহতে পশ্চিমবঙ্গে একটা গুণ্ডা পরামর্শ দেয়। সাহস থাকলে নামটা বলুন না। এর সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, আপনার মতো অহঙ্কারীকে ধ্বংস করার জন্য যদি গুন্ডামি করতে হয়, একবার নয়, এক হাজার বার করব। অহঙ্কারী, দুর্নীতির মক্ষীরানি, চোরেদের সর্দারনী বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এর সঙ্গেই তিনি বলেন, পরিবারবার, কাটমানি, তোষণ যাঁর একমাত্র অ্যাজেন্ডা, তাঁকে যদি গণতান্ত্রিকভাবে ধ্বংস করতে হয়, ভোটের মাধ্যমে যদি উপড়ে ফেলতে হয় তাহলে একহাজার বার গুন্ডামি করব।
এর সঙ্গেই তিনি বলেন, ভাইপোর পিসি বড় বড় কথা বলছেন। অমিত শাহ নাকি সংবিধান মানেননি। অমিত শাহ বিজেপির সভায় বসে বলেছেন। আর আপনি কোথায় বলে গালি দিচ্ছেন?