Maoist Poster At Khardah: খোদ খড়দায় মাওবাদী পোস্টার পড়ল, সরাসরি হুমকি থাকায় এলাকায় আলোড়ন

এবার কলকাতা শহর লাগোয়া জেলায় পড়ল মাওবাদী পোস্টার। এবার শিয়ালদা মেন লাইনে খড়দা স্টেশন চত্বরে মাওবাদী পোস্টার মিলেছে। আর এই পোস্টারগুলিকে ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ পোস্টারে বিস্ফোরক সব স্লোগান লেখা রয়েছে। আজ, মঙ্গলবার খড়দা স্টেশনের এক ও চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে মাওবাদী পোস্টার পড়েছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমন সব মাওবাদী পোস্টার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম–সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের দিকে দেখা যেত। এবার সেটা কলকাতা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে দেখা দিল। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

এদিকে এমন পোস্টার মাওবাদীরা কেন ফেলল?‌ সেটা বোঝা যাচ্ছে না। অনেকে বলছেন মাওবাদীর নাম করে অন্য দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, খড়দায় ওভারব্রিজ তৈরি হচ্ছে। তার জেরে আঁতে ঘা লেগেছে তোলাবাজদের। আর এই তোলাবাজরাই পোস্টার সাঁটিয়েছে। বাম জমানায় মাওবাদীদের পোস্টার পড়ত জঙ্গলমহলে। সেখানে খোদ কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্রে এমন মাওবাদী পোস্টার পড়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার প্রাক্কালে এই মাওবাদী পোস্টার আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি করছে।

ঠিক কী লেখা আছে পোস্টারে?‌ অন্যদিকে খড়দার ১ ও ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দেখা যায় এই ‘মাওবাদী’ পোস্টার। সেখানে লেখা স্লোগান, ‘বাইশে এপ্রিল কমরেড লেলিনের নামে আমাদের শপথ ফ্যাসিবাদকে গুঁড়িয়ে দাও’, শ্রমিক–কৃষক রাজ বানাও’, ‘ঘরে–ঘরে বেকার, বাজারে আগুন। ইভিএম ছুঁড়ে ফেলে এবারে জাগুন’, ‘সরকার বদল পণ্ডশ্রম, বিপ্লবীরাই ওদের যম’। সুতরাং বাম জমানা পরিবর্তন করাটা পণ্ডশ্রম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আবার হিংসার কথাও বলা হয়েছে। পোস্টারগুলি ছিঁড়ে দেয় জিআরপি। পুলিশ তদন্তে নেমেছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এই পোস্টার ঘিরে খড়দায় তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। বিষয়টি জানানো হয়েছে স্থানীয় বিধায়ককে। সূত্রের খবর, স্থানীয় বিধায়ক পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে খড়দা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিব্যেন্দু মজুমদার বলেন, ‘‌খড়দা স্টেশনে ওভারব্রিজ তৈরি হচ্ছে। যার জন্য রেললাইনের ধারে প্রচুর বেআইনি দোকান ভাঙা পড়তে চলেছে। যারা সেই দোকানগুলি থেকে তোলাবাজি করে খায় তাদের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তারাই এসব পোস্টার সাঁটাচ্ছে। মাওবাদী বলে কিছু নেই। কিছু অসাধু লোক এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করছে।’‌