Police Suicide: ‌পুলিশকর্মীর দেহ উদ্ধার ট্রাফিক ব্যারাকে, হাওড়ার ঘটনার নেপথ্য কারণ কী?

আজ, মঙ্গলবার ট্রাফিক ব্যারাক থেকে এক পুলিশকর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। হাওড়া থানার অন্তর্গত লিচুবাগান এলাকার পুলিশ ব্যারাকে এমন ঘটনা ঘটায় তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলেও সেটা আত্মহত্যা না খুন সেটা নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশকর্মীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট এলেই সবটা পরিষ্কার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ঠিক কী ঘটেছে হাওড়ায়?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ মঙ্গলবার পুলিশ ব্যারাক থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পুলিশকর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে হাওড়া থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাওড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই পুলিশকর্মী কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই অবসাদ থেকেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর দেহে শুধু ছিল একটি স্যান্ডো গেঞ্জি এবং হাফ প্যান্ট। রাতে এই পোশাক পরেই শুতে গিয়েছিলেন। আর সকালেই এমন দৃশ্য দেখে হতবাক সকলে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ পুলিশের র‌্যাফে কর্তব্য়রত ছিলেন এই পুলিশ কর্মী। খুব কম কথা বলতেন। তাঁর বাড়ি নদিয়ায়। হাওড়া থানার অন্তর্গত লিচুবাগান পুলিশ ব্যারাক থেকে দেহ উদ্ধার পুলিশ কর্মীর। এটা ঘটনা ঘটার সময় কেউ টের পাননি। ওই পুলিশ কর্মীর বাড়িতে মা–বাবা এবং বোন রয়েছে। তাঁদেরকে এই অঘটনের খবর দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। সেখানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ মহলেও এই ঘটনা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত পুলিশ কর্মীর নাম সুদীপ্ত রায় (‌২৪)‌। বাড়ি নদিয়া জেলার ধানতলা এলাকায়। হাওড়া থানার অন্তর্গত লিচুবাগান পুলিশ ব্যারাক থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ হাওড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাড়িতে মা–বাবা এবং বোন রয়েছে। সুদীপ্তই একমাত্র রোজগেরে ছিল পরিবারে। কোনও মানসিক অবসাদের জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই বাড়ির সদস্যদের খবর পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক অশান্তি চলছিল বলে তথ্য মিলেছে। আগেও একাধিক পুলিশ কর্মী মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন।