DA Movement: সরকারের সঙ্গে আলোচনার ডাক পেলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা, কাল নবান্নের ১৩-তলায় বৈঠক

অবশেষে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, শুক্রবার ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টায় আন্দোলনকারীদের ৫জন প্রতিনিধিকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। নবান্নের ১৩ তলায় মুখ্যসচিবের কনফারেন্স রুমে এই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষকে চিঠি দিয়ে এই মিটিংয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অন্যতম প্রতিনিধি রাজীব দত্ত হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, শুক্রবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে আমাদের বৈঠক রয়েছে। সেখানে ডিএর দাবির পাশাপাশি একাধিক বিষয়কে আমরা উত্থাপন করব।

সূত্রের খবর, কালকের মিটিংয়ে ডিএর দাবিকে তুলে ধরা হবে। সেই সঙ্গেই আন্দোলনকারীদের উপর যে সরকারি দমন পীড়ন করা হচ্ছে, যেভাবে দূরের জায়গায় ইচ্ছাকৃতভাবে বদলি করা হচ্ছে সেই প্রসঙ্গ অবশ্যই মিটিংয়ে তুলে ধরা হবে।

৮৪দিনে পড়ল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এই আন্দোলন। দীর্ঘ আন্দোলন। দিনের পর দিন ধরে ধরনা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়েছে শহিদ মিনার চত্বর। মাঝেমধ্যেই আন্দোলনকারী কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এমনকী আন্দোলনকারীদের একাংশের দাবি, আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখতে সরকার নানা দমন পীড়ন শুরু করেছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমাতে চাইছে সরকার। এনিয়েও ক্ষোভে ফুঁসছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা।

এদিকে এভাবে ডিএর দাবিতে দিনের পর দিন এই লাগাতার সরকারি কর্মীদের আন্দোলন আগে বিশেষ দেখেনি বাংলা। ডিএ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বঞ্চনার অভিযোগ। তার জেরেই আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। একেবারে নজিরবিহীন আন্দোলন। এভাবে দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা, এটা আগে বিশেষ দেখা যায়নি। এমনকী সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো সুর চড়িয়েছেন তারা। সরকারও এনিয়ে পালটা চাপে রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তবুও আন্দোলনে অনড় সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সম্প্রতি সরকারি কর্মীরা পেন ডাউন কর্মসূচিও পালন করেছিলেন। গোটা বাংলা জুড়ে তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। তবে অনশনের রাস্তা থেকে এখনও সরে আসেননি সরকারি কর্মীরা। মাঝেমধ্যেই তাঁদের মধ্য়ে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তবুও আন্দোলনে অনড়। তবে এবার তাঁদের ডাক পড়ল আলোচনায়।

এই আলোচনায় শেষ পর্যন্ত কী রফা সূত্র বেরিয়ে আসে সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বাংলা। তবে একাধিক তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কেন্দ্রের বঞ্চনার বিষয়টিও মাথায় রাখা দরকার। কেন্দ্র রাজ্য সরকারের পাওনা বহু টাকা আটকে রেখেছে।