জতীয় দলের তকমা হারানোর পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এমনই দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার নবান্ন থেকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী বললেন, শুভেন্দু যদি তাঁর প্রমাণ দিতে পারেন তবে তিনি পদত্যাগ করবেন। এই প্রসঙ্গে এদিন তিনি আরও জানিয়ে দেন, তৃণমূল জাতীয় দল ছিল, আছে, থাকবে।
মঙ্গলবার সিঙ্গুরের একটি সভা থেকে বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন,’তৃমমূলের সর্বভারতীয় তকমা চলে যেতেই তৃণমূল নেত্রী ফোন করেছিলেন অমিত শাহকে। জাতীয় তকমা ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে চারবার ফোন করেন। কিন্তু অমিত শাহজি স্পষ্ট জানিয়ে দেন তা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন নিয়ম মেনে যা করার করেছে।’ শুভেন্দুর এই দাবি ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে।
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে পাল্টা চ্যালে়্জ করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন,’ভুঁইফোড় বিরোধী দলনেতা যা খুশি বলছেন। এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পরিকল্পনা করে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। জনগণের সমর্থণ নেই। তাই এ সব মিথ্যা অভিযোগ করছে।’
মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতা পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন,’যদি এই অভিযোগ প্রমাণ করতে পারে তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেব। আমাকে এতো সহজ ভাবার কোনও কারণ নেই। আমি দীর্ঘদিন রাজনীতি করছি। প্রমাণ করতে না পারলে তুমি মানুষের সামনে নাখখত দেবে তো?’
এর পর তিনি বিজেপি উদ্দেশে বলেন, তৃণমূল সর্বভারতীয় দল ছিল, আছে, থাকবে। তাঁর কথায়,’নির্বাচন কমিশন আপনাদের হাতে মানে আপনারা যা খুশি করতে পারবেন? নিয়ম কী বলে, প্রতি দশ বছর অন্তর রিনিউ হয়। শেষবার ২০১৬ সালে রিনিউ হয়েছিল। সেই হিসাবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময় পাওয়া গিয়েছিল। সেই দিক থেকে আমরা সর্বভারতীয় দল ছিলাম আর থাকব। আমাদের দলের নাম সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ছিল, থাকবেও। বিজেপির হাতে কমিশন আছে আমাদের পাশে মানুষ। আমরা মানুষকে দিয়ে করাব। ক্ষমতায় আছেন বলে যা খুশি করবেন না। ‘