গ্য়াংস্টার- রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদকে পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্য়েই গুলি করে খুন করা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনাকে ঘিরে গোটা দেশজুড়ে শোরগোল। এবার সেই খুনের আঁচ পড়ল বিহারে। বিহারের পটনায় আতিকের সমর্থনে উঠল স্লোগান। পটনা রেল স্টেশনের কাছে জামা মসজিদের বাইরে আতিক ও আসরাফের সমর্থনে স্লোগান তোলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন। একদিকে আতিক , আসরাফকে শহিদ বলে তুলে ধরলেন তারা। অন্য়দিকে যোগী, মোদীর নামেও কুরুচিকর স্লোগান তোলেন তারা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় স্বাভাবিকভাবে শোরগোল পড়ে যায়।
এদিকে ১৫ এপ্রিল রাতে একেবারে মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় আতিককে। তাকে সেই সময় মেডিক্য়াল পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হচছিল। সেই সময় পরপর গুলি।
এদিকে ইদের আগে এইভাবে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে থাকে। মসজিদে প্রার্থনা করার পরে তারা বেরিয়ে আসেন। এরপর আতিক, আসরাফের সমর্থনে স্লোগান। আতিক আহমেদ অমর রহে বলে স্লোগান শুনে দাঁড়িয়ে পড়েন পথচলতি মানুষজন। আতিক অমর রহে বলেও স্লোগান দেওয়া হয়। এদিকে আতিককে ঝাঁসিতে এনকাউন্টারে মেরে ফেলেছিল পুলিশ। তার নামেও উঠল স্লোগান। তার সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও কুরুচিকর মন্তব্য করেন তারা।
এর সঙ্গেই তারা মিডিয়াকে দোষারোপ করা শুরু করেন। রইস গজনভি নামে এক ব্যক্তি এই স্লোগানে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তিনি দাবি করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওদেরকে খুন করা হয়েছে। যোগী সরকার তারে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। পুলিশ ও মিডিয়ারও এতে হাত রয়েছে। তিনি বলেন যখন উপবাসের দিন সেদিনই তাদেরকে খুন করা হল। সেকারণেই আতিক আহমেদকে গোটা বিশ্বে শহিদের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।
একেবারে জেহাদি স্টাইলে স্লোগান দিতে শুরু করেন তারা। এদিকে সংবাদমাধ্যমের তরফে তাদের প্রশ্ন করা হয়েছিল আতিক বড় বড় ক্রাইমের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তখন গজনভি বলেন, কোর্ট বলে তো একটা বিষয় আছে। তারা বিষয়টি দেখছিলেন। বন্দিদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল পুলিশের। আতিকের মৃত্যুর পেছনে আদালত দায়ী বলেও মন্তব্য করেন তারা।
তাদের দাবি, আদালত যদি তাদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিত তবে বলার কিছু থাকত না। কিন্তু সেটা হয়নি। একেবারে পরিকল্পিতভাবে তাদের খুন করা হল। এটা কোনওভাবে মানা যায় না।