পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ দেওয়ার মুরোদ নেই, ভোট চাওয়ার গোঁসাই, মমতাকে বললেন শংকর ঘোষ

সৎ পথে উপার্জিত টাকা খরচ করে বাড়ি এসে কেন দুর্নীতিগ্রস্ত মুখ্যমন্ত্রীকে ভোট দেবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা? রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনকে এভাবেই সমালোচনা করলেন বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। তিনি বলেন, যারা আসবেন তারা বিজেপিকেই ভোট দেবেন। কারণ বিজেপি শাসিত রাজ্যে তাঁরা উন্নয়নযজ্ঞ দেখেছেন।

এদিন শংকরবাবু বলেন, ‘ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ধিক্কার জানাই। গোটা দেশে এই ঘটনা বেনজির। ন্যূনতম লজ্জা থাকলে উনি পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরে ওনাকে ভোট দিতে বলতেন না। নিজের রাজ্যে কাজ দেওয়ার মুরোদ নেই। যে সমস্ত যুবক যুবতীরা নিজেদের যোগ্যতায় ভিনরাজ্যে গিয়ে কাজ করে পরিবার প্রতিপালন করছেন তাঁদের কাছে কোন অধিকারে ভোট চাইছেন উনি? উনি কি জানেন, এই পরিযায়ী শ্রমিকরা কী অমানবিক জীবন যাপন করেন? কত রকম অত্যাচার – বঞ্চনা পেরিয়ে দুটো পয়সা তাঁরা বাড়িতে পাঠান’?

তিনি বলেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকরা ওনার পরিবারের সদস্যের মতো নয়। ওনার পরিবারের সদস্যদের কখনও কোনও পেশায় যুক্ত থাকতে দেখা যায়নি, অথচ তারা কলকাতা শহরের বুকে একের পর এক জমি ও কোটি কোটি টাকার মালিক। উলটো দিকে নিজের পরিবার, মা – বাবা, ভাই – বোন, স্ত্রী, বন্ধু – বান্ধবদের ছেড়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা উদয়াস্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তাঁরা কেন তাঁদের কষ্টার্জিত টাকা খরচ করে এসে একজন দুর্নীতিগ্রস্ত মুখ্যমন্ত্রীকে ভোট দিতে যাবেন, যিনি এরাজ্যে শিল্পকে ধ্বংস করেছেন। যাঁর জন্য যুবক যুবতীরা পরিযায়ী শ্রমিকের অমানবিক জীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন? পরিবারে বাকি যে ক’জন যুবক যুবতী রয়েছেন তাঁদেরও পরিযায়ী শ্রমিক করতে কেউ ওনাকে ভোট দেবে না’।

শংকর ঘোষের বিশ্বাস, ‘আর কেউ যদি সৎ পথে কষ্টার্জিত টাকা খরচ করে লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ভোট দিতে আসেন তাহলে আমার স্থির বিশ্বাস তাঁরা বিজেপিকেই ভোট দেবেন। কারণ তাঁরা দেখেছেন বিজেপিশাসিত রাজ্যে কী ভাবে শিল্পের উত্থান হয়েছে। কী ভাবে সেখানে সবার জন্য সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত। সেখানকার ছেলে – মেয়েরা গ্রামে বসেও বড় বড় কোম্পানি চালাচ্ছে। সেখানে উন্নয়নের জোয়ারে মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি চুরমার হয়ে গেছে। যার ফলে বিলুপ্তির পথে কংগ্রেসের মতো দল’।

এদিন কলকাতার রেড রোডে ইদের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগামী বছর এই সময় লোকসভা ভোট। ভিনরাজ্যে যারা কাজে গিয়েছেন তারা সবাই ফিরে এসে আমাকে ভোট দেবেন।’