মুসলিমদের ভোটব্যাঙ্ক করে রাখতে অন্ধকারে ডুবিয়ে রাখতে চান মমতা: সুকান্ত

মুসলিমদের ভোটব্যাঙ্ক করে রাখতে অন্ধকারে ডুবিয়ে রাখতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের মতো রাজনীতিবিদরা। শনিবার রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে এই ভাষাতেই সমালোচনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক মন্তব্য করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন তিনি।

এদিন সুকান্তবাবু বলেন, ‘একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক মঞ্চ করে তুললেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটাকে আমরা তীব্র ধিক্কার জানাই। উনি NRC করতে দেবেন না বলেছেন। তার মানে উনি মেনে নিয়েছেন উনি CAA হতে দেবেন। আমরা তাঁর এই অবস্থানকে স্বাগত জানাই। প্রচুর মানুষ বিনা অনুমতিতে যারা বাংলাদেশ – পাকিস্তানের মতো দেশ থেকে ভারতবর্ষে ঢুকে যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান কী? উনি কি মনে করেন, বছরের পর বছর যে কেউ ঢুকলে তাকে পশ্চিমবঙ্গে থাকতে দেওয়া উচিত’?

তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মুসলিমদের ভোটব্যাঙ্ক বলে মনে করা হয়। তাই তাঁদের সামগ্রিক জীবনযাত্রার মানের কোনও উন্নতি হয় না। রাজ্যের ৩০ শতাংশ জনসংখ্যা মুসলিম। কিন্তু চিকিৎসক, আমলা, বিচারকদের মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যা কত? যতদিন তাদের ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে দেখা হবে ততদিন তাঁদের প্রকৃত উন্নয়ন হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো রাজনীতিবিদরা চান মুসলিমরা অন্ধকারে ডুবে থাকুন। যাতে তাদের ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে বছরের পর বছর ব্যবহার করা যায়। এবং তারা ক্ষমতায় টিকে থাকে।

শনিবার সকালে কলকাতার রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা এপ্রিল মাস। এক বছর পর দেশে নির্বাচন। লোকতন্ত্র চলে গেলে, সব চলে যাবে।’ মমতা অভিযোগ করেন যে বিজেপি সংবিধান বদলে ফেলছে। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, বিজেপি ইতিহাসও বদলে ফেলছে। এদিকে মমতা দাবি করেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ফের একবার এনআরসি নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। যদিও তিনি দাবি করেন, এনআরসি তিনি করতে দেবেন না। সংখ্যালঘুদের তৃণমূলের ওপর ভরসা রাখার আহ্বান জানান মমতা। তাঁর কথায়, তৃণমূল ভয় না পেয়ে লড়াই চালিয়ে যাবে। মমতা বলেন, ‘আমি আমার জীবন দিয়ে দেব, কিন্তু দেশ ভাগ করতে দেব না।’ বিজেপিকে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করে। এ রকম ভাঙচুর করে দেশের নেতা হওয়া যায় না।’ মমতা আরও অভিযোগ করেন, টাকা দিয়ে মুসলিম ভোট কেনার চেষ্টা চলছে রাজ্যে।