Laksmi Bhandar: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে উঠে এল ব্যাপক সাফল্য, অতিরিক্ত কত মহিলা প্রকল্পের আওতায়?

সামাজিক প্রকল্পের আওতায় এনে মহিলাদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করতে তিনি বদ্ধপরিকর। আর তাই নতুন করে আরও ১১ লক্ষ মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসতে চলেছে রাজ্য সরকার। যদিও তার জেরে এই প্রকল্প খাতে বার্ষিক খরচ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে রাজ্যের মহিলাদের হাতে নগদের জোগান নিশ্চিত করতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তখন থেকে এক কোটি ৫৩ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি আর্থিক সহায়তা পাঠিয়ে চালু হয়েছিল প্রকল্প। তারপর দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু হলে এখন উপভোক্তার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৮৮ লক্ষ।

ঠিক কী হতে চলেছে?‌ সম্প্রতি শেষ হওয়া দুয়ারে সরকার শিবিরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ১১ লক্ষ ১৬ হাজার। সূত্রের খবর, এই আবেদনের মধ্যে ১০ লক্ষ ৩৯ হাজার আবেদন অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে। শুধু তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপভোক্তার সংখ্যাই এক লক্ষ ৩৬ হাজার এবং ২৮ হাজার ৬৯৬। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপভোক্তারা প্রতি মাসে এক হাজার টাকা পান। বাকিরা পান ৫০০ টাকা করে। এবারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা, নদিয়া এবং হুগলি জেলায় বেশি মহিলা আবেদন করেন।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ নবান্ন সূত্রে খবর, আর দু’‌দিন পর ২৬ এপ্রিল নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠকে করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকের পর নতুন উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাবেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এই প্রকল্পে মোট উপভোক্তার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে এক কোটি ৯৮ লক্ষ। এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে প্রত্যেক মাসে রাজ্য সরকারের খরচ হয় ১০৩০ কোটি টাকা। নতুন সাড়ে ১০ লক্ষ উপভোক্তা যুক্ত হলে প্রত্যেক মাসে এই খাতে খরচ বাড়বে ৬০ কোটি টাকা। যা বছরে গিয়ে দাঁড়াবে ৭২০ কোটি। এই খাতে খরচের টাকা ধরে রাখা আছে। তাই দিতে কোনও সমস্যা হবে না।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এই সাফল্য নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তাছাড়া কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, কৃষকবন্ধু, মেধাশ্রী, বিধবা ভাতা, ঐক্যশ্রীর মতো প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন রাজ্যের মানুষজন। এই প্রকল্পগুলির টাকা একই দিনে পাঠানো হবে। এবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে মানুষ এই প্রকল্পগুলিতেও আবেদন করেছেন। তার ফলে ২২ লক্ষ নতুন উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকে যাবে। এমনকী ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড নিতে যাঁরা আবেদন করেছেন তাঁরাও দ্রুত সুবিধা পাবেন।