রোজ শশা খান? জানেন কি এর চমৎকার গুণাগুণ?

পাতে রোজই শশা্র স্যালাড থাকে অনেকের। দই, মরিচ দিয়ে শশা খেতে দারুণ লাগে। সারা বছরই এই ফল বাজারে থাকে। যারা শুধু ডায়েট করেন তাদের জন্য নয়, এমন অনেক দুর্দান্ত গুণ শশার রয়েছে যা জানলে আপনিও অবাক হবেন। দেখে নেওয়া যাক শশার উপকারিতা।

তরমুজের মতোই শশাতেও রয়েছে প্রচুর জল। গরমে শশা খেলে শরীরে জলের অভাব হয় না। শশার মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো কয়েকটি পুষ্টির উপাদান। শশা সহজে অনেক রোগ কাবু করতে পারে। এই গরমে শরীরকে হাইড্রেট রাখা খুব জরুরি। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে শশার জুড়ি মেলা ভার।

গরমে জলের অভাব মেটানো ছাড়াও শশার আরও কয়েকটি বিশেষ গুণ রয়েছে সেইগুলি হল

ওজন ঝরাতে সাহায্য করে

ওজন ঝরানো যাদের লক্ষ্য তাদের জন্য শশার উপকারিতা অনেক। শশাতে ক্যালোরির পরিমাণ কম। তাই শশা খেলে ওজন সহজে বাড়ে না। শুধু শশা নয়, শশা ভেজানো জলও অনেক সময় কাজে আসে।

ক্যানসার রোধ করে

শশাতে থাকা কিউকারবিটানিস ক্যানসার প্রতিরোধ করে। ক্যানসারের জীবানুকে নষ্ট করে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আধুনিক একটি রিসার্চে এমনই তথ্য প্রমাণিত হয়েছে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে

ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম খনিজ শশাতে ভরপুর থাকে। সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম পটাশিয়ামের ওপর রক্তচাপ অনেকটা নির্ভর করে। আর শশা খেলে রক্তচাপ বাড়ে না। বলা হচ্ছে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে শশা খুব উপকারী।

হাড় ক্ষয় রোধ করে

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষমতা কমে যায়। হাড় ক্ষয়ে যায়। উঠতে বসতে সমস্যা হয়। হাড়ের জন্য ভিটামিন কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই ভিটামিন কে ভরপুর পাওয়া যায় শশাতে। হাড়ের ক্ষমতা বাড়াতে শশা খুবই উপকারী। নিয়মিত শশা খেলে হাড় মজবুত হয় তাড়াতাড়ি। হাড়ের জোর, টিস্যুর ক্ষমতা বাড়াতে অন্যান্য খাবারের সঙ্গে অবশ্যই শশা রাখুন।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট

প্রতিদিনের ট্রেস, উদ্বেগ, শরীরের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে, ডায়াবিটিস, ক্যানসারের মতো জটিল রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শশাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মাত্রা অনেক বেশি। যা এই ট্রেস জনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। শশার মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন, ম্যাগনেশিয়াম যৌগ দুরারোগ্য ব্যাধি দূর করে।

শরীরে কোনও জটিল রোগ থাকলে শারীরিক পরিস্থিতি বুঝে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।