Subhas Sarkar: ‘‌গতবারের মতো ব্যবহার করলে আমরা তাদের শুইয়ে দেব’‌, তৃণমূলকে হুমকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে হুমকি দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বঙ্গ–বিজেপির যে চারজন সাংসদ কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তার মধ্যেই একজনের এমন মন্তব্য নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার এমন ভাষাতেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তিনি সরাসরি ‘‌শুইয়ে দেব’‌ মন্তব্য করলে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছেন পঞ্চায়েত নির্বাচন রক্তাক্ত হবে। যদিও এই নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

ঠিক কী বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?‌ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছিল, বুকে পা তুলে দেওয়ার কথা। এবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এমন ভাষা শুনে বাংলার মানুষ তাজ্জব। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই লাগামহীন ভাষা ব্যবহার হচ্ছে। আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যে শোরগোল তৈরি হয়েছে। রবিবার বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি হোটেলে সাংগঠনিক বৈঠক করেন তিনি। আর সেটা শেষ করেই কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, ‘‌২০১৮ ও ২০২৩ সালের বাঁকুড়া বিজেপির মধ্যে অনেক ফারাক আছে। এখন বিজেপি কর্মীদের বাধা দিতে কেউ সাহস পাবে না। এখন পুলিশ যদি সাহায্য করে সেটা আলাদা ব্যাপার। আর এসবের জবাব ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আলাদাভাবে দেওয়া হবে। গতবারের মতো এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলে এবং গতবারের মতো ব্যবহার করলে আমরা তাদের শুইয়ে দেব।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ মঙ্গলবার থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগ যাত্রায় বের হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তাই নিয়ে গোটা বাংলায় সাজ সাজ রব। আর এই জনসংযোগ যাত্রার ফলে ভোটে প্রভাব পড়বে সেটা বুঝতে পারছে বিজেপি। তাই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। দিলীপ ঘোষ থেকে সৌমিত্র খাঁ তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে বারবার কুকথা বলেছেন। এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখ থেকে হুমকি আসায় বাংলার মাটিতে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।

তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক কী বলছে?‌ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী বলেন,‘‌বিজেপি সাংসদ তো নিজেই শুয়ে পড়েছেন। ওই বৈঠকে উপস্থিত বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে একথা বলে তিনি দেখাতে চাইছেন তিনি কত কিছু করতে পারেন।’‌ যদিও বিজেপির সংগঠন নীচুতলায় এখনও দুর্বল। আর সেটা নিয়ে রিপোর্টও জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। তারপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন বক্তব্যে আতঙ্কের জল্পনার জন্ম দিল।