Medical College Fire: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, টর্চ জ্বেলে চলল অস্ত্রোপচার

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আগুন লেগে গেল। ইউপিএস রুমে আগুন লাগে বলে খবর। আর সেই আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে। আজ, মঙ্গলবার সুপার স্পেশ্যালিটি ব্লকের একতলার সার্ভার রুমে আগুন লাগার খবর পায় দমকল। ওখানে রোগী না থাকলেও দোতলায় সিসিইউ থাকায় সেখানে একাধিক রোগী ছিলেন। তাই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে যায়। অনেকেই দৌড়াদৌড়ি করতে শুরু করেন। তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়েছিল।

এদিকে সূত্রের খবর, মোবাইল ফোনের টর্চ জ্বেলে হাসপাতালের তিন তলায় কিডনির অস্ত্রোপচার চলছিল। তখনই আগুন লাগে। সুতরাং মানুষের জীবন–মরণ সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কারণ ইউপিএস রুমে আগুন লাগায় সেটা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সেন্ট্রালি এসি’‌র ডাক্ট দিয়ে গোটা হাসপাতালে ছড়িয়ে পড়তে থাকে কালো ধোঁয়া। তাতে আতঙ্ক আরও বাড়ে। আগুন যাতে অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। ঘটনাস্থলে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন গিয়ে পৌঁছেছিল।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ অন্যদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় সিসিইউতে ব্যাটারি ব্যাকআপ দিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা সচল রাখা হয়েছিল। সিসিইউতে ভেন্টিলেটরের মতো জরুরি যন্ত্র রয়েছে। দমকল সূত্রে খবর, ৬টি ইঞ্জিন একসঙ্গে কাজ করতে পেরেছিল বলে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। তার জেরে বড় বিপদ রোখা সম্ভব হয়েছে। তবে বেশ কিছুক্ষণ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় হাসপাতাল চত্বর। এদিন হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী ও কর্মীরাই প্রথমে ইউপিএসসি রুমের ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখতে পান। তখনই হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বেশ কয়েকজনকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রাখা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে প্রথম কাজ করা শুরু হয়। আর দ্রুত খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও দমকলে। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর ডঃ সুনির্মল চৌধুরি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আজকে আমরা ৪৬ বছরের এক মহিলা রোগীর ডানদিকের কিডনিতে থাকা টিউমার বাদ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হই। দুপুর ২টোর সময় অপারেশন শুরু হয়। প্রায় ৫০ মিনিট পরে হঠাৎ করে অন্ধকার হয়ে যায়। তখন আমরা টর্চের আলোর সাহায্যে কাজ করি। আমরা ধীরে ধীরে টিউমার বের করতে সক্ষম হই। আর রোগী সুস্থ আছেন। এমন অভিজ্ঞতা আমাদের আগে কোনও দিন ছিল না।’‌