Teacher Crisis in school: ঘাটতি মেটাতে শহরে থেকে গ্রামে বদলি করা হবে শিক্ষক, মিটবে কি সমস্য?

বিদ্যালয়ে শিক্ষক-পড়ুয়া অনুপাত ঠিক রাখতে এ বার কলকাতার শিক্ষকদের জেলায় পাঠাচ্ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। এর পিছনে কলকাতা হাইকোর্টের সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, গ্রামাঞ্চলের স্কুলে শিক্ষক-ঘাটতি পূরণ করতে প্রয়োজনে কলকাতা থেকে শিক্ষক পাঠাতে হবে। প্রয়োজনে বদলি নীতি তৈরির করার ব্যাপারেও রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দেয় হাইকোর্ট।

কলকাতার প্রায় ৫৮০ জন শিক্ষককে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন স্কুলে প্রশাসনিক ভাবে বদলির সুপারিশপত্র তৈরি করেছে এসএসসি। সূত্রের খবর, সেই সুপারিশপত্র খুব শীঘ্রই ওই শিক্ষকদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তীকালে, কলকাতার আরও এক হাজার শিক্ষককে বিভিন্ন জেলায় বদলির প্রক্রিয়া শুরু হবে।

তবে এই বদলি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের এই ভাবে কলকাতার শিক্ষকদের জেলায় পাঠানো কতটা যুক্তিসঙ্গত? তাঁদের আরও প্রশ্ন, উৎসশ্রী মারফত বদলি নিয়ে গ্রাম বা জেলা থেকে অনেকে নিজের শহরে এসেছেন সবে, আবার কেন তাঁদের জেলায় পাঠানো হবে? পরে গ্রাম থেকে কি আবার তাঁর শহরে ফিরতে পারবেন?

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের আগস্টে রাজ্য সরকার চালু করে উৎসশ্রী পোর্টাল। যার মাধ্যমে শিক্ষকরা নিজেদের বাসস্থানের নিকটবর্তী স্কুলে বদলি নিতে পারতেন। অভিযোগ, পোর্টালে ভুল নীতির জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিপর্যস্ত হয়ে যায়। এক বছরের মাথায় সেই পোর্টাল সরকার বন্ধ করে দেয়।

বিভিন্ন শিক্ষা কমিশনের বক্তব্য অনুযায়ী ৩০ জন পড়ুয়া পিছু এক জন শিক্ষক থাকার কথা। কিন্তু রাজ্যে রীতি অনুযায়ী সেই অনুপাত, ৪০ পড়ুয়া পিছু একজন শিক্ষক। রাজ্যের স্কুলে বেশির ভাগ স্কুলে এই অনুপাত বজায় থাকে না। কলকাতায় যেখানে শিক্ষকের অনুপাতে পড়ুয়ার সংখ্যা কম। পড়ুয়ার সংখ্যা সেখানে উত্তরোত্তর কমছে।  সেখানে জেলার স্কুলগুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি। একাধিক গ্রামের স্কুলে আবার বিভিন্ন বিষয়ে এক জনও শিক্ষক নেই।

কিন্তু শহর থেকে গ্রামের স্কুলে শিক্ষকদের পাঠিয়ে এই সমস্যার কতটা সমাধান করা যাবে তা নিয়েও সন্দিহান শিক্ষকদের একাংশ। ভবিষ্যতে শহর স্কুলগুলি কি গুরুত্বহীন হয়ে যাবে।