ড্যারিল মিচেলের সেঞ্চুরি ম্লান করে দিলেন ফখর জামান

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করলেও পাকিস্তানের শেষটা হয়েছে হতাশায়। ৫ ম্যাচের সিরিজ ড্র হয়েছে ২-২ ব্যবধানে। ওয়ানডে সিরিজটাও প্রত্যাশার জয়ে শুরু করেছে তারা। আগে ব্যাটিং করে ২৮৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। ফখর জামানের সেঞ্চুরিতে স্বাগতিকরা অনায়াসেই তা পার করেছে। ৯ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয়ে শুরু করেছে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। তাতে ৫০০ ওয়ানডে জয়ের মাইলফলকও পূরণ হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ভারতের পর তৃতীয় দল হিসেবে এতগুলো ওয়ানডে জিতেছে পাকিস্তান।

রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ২৮৯ রানের লক্ষ্য দেয় সফরকারী নিউ জিল্যান্ড। মাঝারি মানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক মিলে ওপেনিং জুটিতেই ১২৪ রান যোগ করেছেন। এই জুটির ওপর দাঁড়িয়ে জয়ের ভিতটা পেয়ে যায় স্বাগতিক দল। ৬৫ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলে ইমাম আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে ব্যাটিং করেছেন ফখর। দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজমের সঙ্গে আরও ৯০ রানের জুটি গড়েন তিনি। অধিনায়ক বাবর ১ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন। ফেরার আগে ৪৬ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৯ রানের ইনিংস খেলেছেন। এরপর শান মাসুদ ১২ বলে ১ রানে আউট হলেও পাকিস্তান লক্ষ্যচ্যুত হয়নি। দলকে নিরাপদে রেখে চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি গড়ে আউট হন ফখর। ততক্ষণ অবশ্য সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ১১৪ বলে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় ১১৭ রানের ম্যাচসেরা ইনিংস খেলেছেন।  

এরপর আগা সালমান (৭) রান করে আউট হলেও তখন জয়ের কাছেই ছিল পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও মোহাম্মদ নওয়াজের অবিচ্ছিন্ন ১৮ রানের জুটিতে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে তারা। রিজওয়ান ৪২ ও নওয়াজ ৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

নিউ জিল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে অ্যাডাম মিলনে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। ব্লেয়ার টিকনার, ইশ সোধি ও রাচিন রবীন্দ্র একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া নিউ জিল্যান্ডের শুরুটাও খারাপ ছিল না। ওপেনিং জুটিতে যোগ করেছে ৪৮ রান। ১৮ রানে চ্যাড বাউয়েস আউট হওয়ার পর মূল প্রতিরোধটা গড়েছেন উইল ইয়াং ও ড্যারিল মিচেল। দ্বিতীয় উইকেটে ১০২ রানের জুটি গড়েন তারা। সেঞ্চুরি থেকে ১৪ রান দূরে থাকতে ইয়াং আউট হলেও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মিচেল। ৭৮ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ইয়াং তার ৮৬ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন। এই জুটি ভাঙার পর টম ল্যাথামের সঙ্গেও ৭২ রানের জুটি গড়েন মিচেল। অধিনায়ক ল্যাথাম ৩৬ বলে ২০ রান করে আউট হয়েছেন। ল্যাথামের আউটের পর বাকি ব্যাটারদের কেউ বড় জুটি গড়তে পারেননি। পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে মিচেল যখন আউট হন, তখন কিউইদের স্কোর ২৬০। এরপর রাচিন রবীন্দ্র ৯ বলে ৯ এবং হেনরি নিকোলসের ২০ বলে অপরাজিত ২১ রানের সুবাদে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৮ রান সংগ্রহ করতে পারে নিউ জিল্যান্ড।

পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ ও হারিস রউফ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।