Sex Racket: নিউটাউনে আবার মধুচক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ, নাবালিকা থেকে যুবতী জড়িত কারবারে

আবার মধুচক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ। বাইরে চাকচিক্য দিয়ে ঢেকে রেখে ভিতরে চলছিল রমরমা শরীরী কারবার। নাবালিকা থেকে যুবতী এমনকী গৃহবধূদের পর্যন্ত এখানে আসা–যাওয়া ছিল। বিনিময়ে মোটা টাকা রোজগারের হাতছানি। নিউটাউনের যাত্রাগাছি এলাকার গেস্ট হাউসে এভাবেই চলছিল মধুচক্রের আসর। আর আজ, শুক্রবার এখান থেকেই মধুচক্রের আসর চলাকালীন চারজন নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইকো পার্ক থানার পুলিশ এবং বিধাননগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার যৌথ অভিযানেই উদ্ধার করা হয় ওই নাবালিকারা। তখন অবশ্য তারা স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল না।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েক মাস ধরেই ওই গেস্ট হাউসে মধুচক্রের আসর চলত। সেখানে দিনের বেলায় যুবতী ও গৃহবধূরা আসত। আর সন্ধ্যে নামলেই সেখানে নাবালিকাদের নিয়ে আসা হতো। তাদের দিয়ে মধুচক্রের কারবার চালানো হতো। গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে সেখানে হানা দেওয়া হয়েছিল। আর যাত্রাগাছির ওই গেস্ট হাউসে অভিযান চালাতেই বিধাননগর পুলিশের হাতে উঠে এল হাতেগরম প্রমাণ। এখন উদ্ধার হওয়া নাবালিকাদের বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে। আর গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ এদিন নাবালিকাদের পাশাপাশি আরও দু’‌জনকে আটক করা হয়েছে। এই দু’‌জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই মধুচক্রের পিছনে আরও বড় মাথা রয়েছে। পুলিশ তাদের সন্ধান পেতেই এই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নাবালিকাদের এই গেস্ট হাউসে এনে দিনের পর দিন মধুচক্রের আসর চালানো হতো বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। নাবালিকাদের উদ্ধার হওয়ার পর ওই গেস্ট হাউসে তল্লাশি চালানো হয়। এই মধুচক্রের নেপথ্যে কারা আছে খতিয়ে দেখছেন ইকোপার্ক থানার পুলিশ এবং বিধাননগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অফিসাররা।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ মধুচক্রের আসর থেকে নাবালিকাদের নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় মানুষজন ভিড় করে দেখতে থাকেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তুলছেন, এই গেস্ট হাউসে মধুচক্রের বিষয়ে আগেও একাধিকবার পুলিশকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ দেরি করে উদ্যোগ নিলেও তাঁদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। শুক্রবারের এই পুলিশ অভিযান শোরগোল ফেলে দিয়েছে যাত্রাগাছির ওই গেস্ট হাউস সংলগ্ন এলাকায়। বাসিন্দারা সাধুবাদ জানাচ্ছেন পুলিশকে। আগেও ঝাঁ চকচকে স্পা–এর মোড়কে চলত মধুচক্রের আসর। এবার নিউটাউনের যাত্রাগাছি এলাকায় মধুচক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ।