Shraddha Walkar like Murder in Gurugram: শ্রদ্ধাকাণ্ডের ছায়া এবার গুরুগ্রামে, স্ত্রীকে খুন করে দেহ কয়েক টুকরো করল স্বামী

শ্রদ্ধা ওয়াকর হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি এখনও স্পষ্ট ভারতীয়জদের মনে। এরই মধ্যে ফের সেই একই ধরনের হত্যাকাণ্ড সামনে এল। এবার ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি সংলগ্ন হরিয়ানার গুরুগ্রামে। নিজের স্ত্রীকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্বামীকে মানেসার থেকে গ্রেফতার করেছে গুরুগ্রাম পুলিশ। তবে কী কারণে নিজের স্ত্রীকে তিনি হত্যা করেছেন, তা এখনও নিশ্চিত ভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে। শুক্রবার অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।

গত ২১ এপ্রিল মানেসারের কুকডোলা গ্রামের একটি মাঠের পাশে ঘরের মধ্যে এক মহিলার অর্ধদগ্ধ ধড় পাওয়া যায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মহিলার ধড় থেকে দুই হাত, দুই পা ও ঘাড়ের উপরের অংশ নিখোঁজ ছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের শুরু থেকেই সন্দেহ হয় যে অন্য কোথাও খুন করে মহিলার দেহের অংশ সেখানে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়। তদন্ত করতে করতে সেই মহিলার পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁকে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় স্বামীকে। গুরুগ্রামের পুলিশ কমিশনার কালা রামচন্দ্রন বৃহস্পতিবার এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, অভিযুক্ত স্বামীর নাম জিতেন্দ্র। তার বয়স ৩৪ বছর। জিতেন্দ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার লাইভহিন্দুস্তানকে জানান, জিতেন্দ্র গান্ধী নগরের বাসিন্দা এবং মানেসার এলাকায় ভাড়ায় থাকতেন। এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে কারণ নিয়ে ধন্দ রয়েছে।

জানা গিয়েছে, যে জমিতে মৃতদেহের ধড় পাওয়া গিয়েছিল, সেটি লিজ নিয়েছেন কুকডোলা গ্রামেরই বাসিন্দা উমেদ সিং। সেখানে একটি ছোট্ট খামারবাড়ি আছে। সেই খামারবাড়িরই একটি ঘর থেকে মহিলার দেহ পাওয়া যায়। পুলিশ জানায়, পাচগাঁও চক থেকে কাসান গ্রামের দিকে যাওয়ার রাস্তার পাশে আট একর জমি লিজ নিয়েছিলেন উমেদ সিং। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় মহিলার ধড়। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে ধড়টি ৩০ বছর বয়সি এক মহিলার। রবিবার সন্ধ্যায় খেরকিদৌলা এলাকা থেকে ওই নারীর কাটা হাত ও মাথা পাওয়া যায়। এদিকে উমেদ সিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মানেসার থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ২০১ (প্রমাণ লোপাট) ধারায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করে। উমেদ সিং তাঁর অভিযোগপত্রে বলেন, ‘আমার প্রতিবেশী আমাকে ফোন করে জানায় যে সে আমার খামারের একটি ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেছে। আমি যখন খামারে পৌঁছলাম, তখন দেখি ঘরে একটা আধপোড়া ধড় পড়ে রয়েছে। তখনই আমি পুলিশকে খবর দিলাম।’