BJP Leadership: বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলা নিয়ে কি উৎসাহ হারাচ্ছেন?‌ রাজ্য দফতরে জোর চর্চা

বাংলার সংগঠন নিয়ে কি উৎসাহ হারাচ্ছেন বিজেপির এই রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা? রাজ্য–রাজনীতিতে এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ রাজ্য–বিজেপির অফিসে এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বলে খবর। গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। নির্দিষ্ট ‘প্রোটোকল’ মেনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অথবা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার বাংলা সফরে এলে তাঁরা আসেন। তারপর বাংলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখা মেলে না বলে বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের অভিযোগ।

এদিকে এখানে এসে নানা লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু যাঁদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেইসব কেন্দ্রীয় নেতারা উদাসীন হয়ে রয়েছেন বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের অভিযোগ, ইদানিং বাংলার বিষয়ে কোনও কথাই তাঁরা শুনতে চাইছেন না। বরং সব বিষয়টাই এড়িয়ে যাচ্ছেন। অথচ সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই বিষয়ে আলোচনা করতে চাইলে সময় দিচ্ছেন না তাঁরা। এমনকী দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সাংগঠনিক বিষয়ে দরবার করা হলেও কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। সুতরাং সমস্যা রয়ে যাচ্ছে একই জায়গায়।

অন্যদিকে বিজেপির বাংলার সংগঠনের মাথায় রাখা হয়েছে চারজন কেন্দ্রীয় নেতাকে। তাঁদেরকে পশ্চিমবঙ্গে দলকে শক্তিশালী ভিতের উপর দাঁড় করানোর ভার দিয়েছেন জেপি নড্ডা। তাঁরা হলেন— সুনীল বনসল, মঙ্গল পান্ডে, আশা লাকড়া এবং অমিত মালব্য। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধন্দ। তিনি রাজ্য বিজেপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)। এই বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বঙ্গ–বিজেপির এক সাংসদ বলেন, ‘আগে সরাসরি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম। কিন্তু ইদানীং ফোন করলে তাঁরা রাজ্যেরই কোনও শীর্ষনেতার সঙ্গে কথা বলতে বলছেন। অনেক সময় ফোন ধরছেন না। তাই কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত নেতাদের ভূমিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সম্প্রতি অমিত শাহ বীরভূমে এসে লোকসভা নির্বাচনের জন্য ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সেটা কেমন করে জোগাড় করা সম্ভব তা নিয়ে কোনও আলোচনা নেই কেন্দ্রীয় নেতাদের বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নেতারা মূলত দলের কেন্দ্রীয় পার্টির সঙ্গে রাজ্য শাখার সংযোগ রক্ষা করেন। সেই কাজ নিয়মিতভাবেই হচ্ছে। বাকি অভিযোগ নিয়ে আমার কোনও ধারণা নেই।’ আসলে কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার বলা সত্ত্বেও বাংলায় সংগঠন গড়ে ওঠেনি। মিথ্যে রিপোর্ট দিয়ে ধরা পড়েছেন নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতারা সমীক্ষা করে দেখেছেন বুথস্তরে একদম সংগঠন নেই। আর সেটা করাও হচ্ছে না। তাই তাঁরা উৎসাহ হারাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।