Justice Abhijit Gangopadhyay: অভিষেকের মামলা থেকে সরেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, কুন্তল কি খুশি? কী বললেন তিনি?

নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার যুব তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য নেতা কুন্তল ঘোষ। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য তার উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে এসবের মধ্যেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে দুটি মামলা সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

এদিকে চিঠিতে কুন্তল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন অভিষেকের নাম বলার জন্য তাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা নানাভাবে চাপ দিচ্ছেন। এরপর কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত এই মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত সেই মামলায় সিবিআই ও ইডি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারবে বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আর এরপরই সেই পর্যবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে আগেই অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। এরপর সেই মামলাও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরে যায়। এরপরই গোটা বাংলা জুড়ে এনিয়ে নানা চর্চা।

এদিকে অনেকেরই ধারনা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত থেকে মামলা সরে যাওয়ায় নাকি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জেলবন্দি অনেকেই স্বস্তিতে। তারা নাকি রীতিমতো খুশিতে আছে। এনিয়ে মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা মিম ভাসছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কুন্তল কি খুশি সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে?

শনিবার কুন্তল ঘোষকে আলিপুরের বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তবে আদালতে আসা যাওয়ার পথে প্রায়শই নানা মন্তব্য করতে অভ্যস্ত কুন্তল ঘোষ। এর আগে তিনি একের পর এক নামকে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন সাংবাদিকদের সামনে। তা নিয়ে চর্চা কিছু কম হয়নি। সেক্ষেত্রে সাংবাদিকরা কুন্তলের কাছে জানতে চেয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ার জেরে কী বলতে চান কুন্তল?

প্রশ্নটা শুনেও যেন না শোনার ভান করলেন কুন্তল। মূলত এতদিন এত কথার উত্তর দিতেন যে কুন্তল তিনিই এই প্রশ্নের উত্তরে পুরো মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে কোনও প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে চাননি। কার্যত সেই প্রশ্নকে এড়িয়ে গিয়ে তিনি আদালতে চলে যান।