Report on Mann ki Baat: অনুপ্রেরণাদায়ক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে ‘মন কি বাত’, রিপোর্ট প্রসার ভারতী CEO-র

আজ সম্প্রচারিত হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের ১০০তম পর্ব। এর আগে ‘মন কি বাত’ নিয়ে এক রিপোর্ট প্রকাশ করা হল। রিপোর্টটি তৈরি করেছে ‘ইনস্টিটিউট ফর কম্পিটিটিভনেস’। সেই রিপোর্টে দাবি করা হল, ‘মন কি বাত’ এখন আর শুধুমাত্র একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং বহু মানুষের কাছে এক অনুপ্রেরণাদায়ক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্ব সাধারণ ভারতীয় নাগরিককে সমাজের জন্য কাজ করতে আরও বেশি করে উদ্বুদ্ধ করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘মন কি বাত একটি অনুপ্রেরণাদায়ক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে যা দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেশকে।’

‘ইনস্টিটিউট ফর কম্পিটিটিভনেস’-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে যে মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথনের ভঙ্গি, ব্যক্তিত্বপূর্ণ সুরের কারণে শ্রোতাদের কাছে তা আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই অনুষ্ঠানে যে প্রধান বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে তা হল – স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি, সুস্থতা, জল সংরক্ষণ এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন। ২০১৪ এবং ২০২৩ সালের মধ্যে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের ৯৯টি পর্বের পরীক্ষণের মাধ্যমে এই রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘ইনস্টিটিউট ফর কম্পিটিটিভনেস’। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে মন কি বাতের বিষয়বস্তুগুলি নতুন উদ্যোগের ক্ষেত্রেও অবদান রেখেছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান, আয়ুষ্মান ভারত, কোভিড টিকাদান, ই-সঞ্জীবনী, ফিট ইন্ডিয়া আন্দোলন, জলশক্তি অভিযান, অটল ভুজল যোজনা, নমামি গঙ্গে, ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মতো নতুন উদ্যোগ এবং নারীর ক্ষমতায়নে এই অনুষ্ঠানের বিশেষ অবদান রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। তাছাড়া স্টার্টআপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার প্রসারের ক্ষেত্রেও অবদান রয়েছে মন কি বাতের। প্রধানমন্ত্রী মোদী বারংবার নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে এর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন এই অনুষ্ঠানে।

প্রসার ভারতীর সিইও গৌরব দ্বিবেদী বৃহস্পতিবার রিপোর্টটি প্রকাশ করেন। মাইগভ-এর সিইও আকাশ ত্রিপাঠি, এবং হাল্ট ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ মার্ক এসপোসিটোর এই রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিতি ছিলেন। এছাড়াও আইএফসি-এর চেয়ারম্যান ডঃ অমিত কাপুর, জিনি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর হরি মেনন, সোশ্যাল প্রগ্রেস ইম্পেরেটিভ-এর সিইও ডঃ মাইকেল গ্রিনও উপস্থিত ছিলেন এই রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে। রিপোর্ট প্রকাশ করে প্রসার ভারতীর সিইও বলেন, ‘মন কি বাতের প্রভাব অতুলনীয়। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা অনুসারে, এই অনুষ্ঠানটি ১০০ কোটি শ্রোতা অন্তত একবার করে শুনেছেন বা দেখেছেন। অল ইন্ডিয়া রেডিও ২২টি ভারতীয় ভাষা এবং ১১টি বিদেশি ভাষায় অনুবাদ করেছে মন কি বাতের। ইংরেজি ছাড়াও অনুষ্ঠানটি ফরাসি, চিনা, ইন্দোনেশিয়ান, তিব্বতি, বার্মিজ, বেলুচি, আরবি, পশতো, ফার্সি, দারি এবং সোয়াহিলি ভাষায় সম্প্রচারিত হয়েছে।’