Ukraine’s ‘Maa Kali’ tweet controversy: ‘মা কালীর অবমাননাকর ও বিকৃত ছবি পোস্ট ইউক্রেনের’, চরম ক্ষুব্ধ ভারতীয় নেটিজেনরা

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবল তোপের মুখে পড়ল ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। পূর্ব ইউরোপের দেশকে চূড়ান্ত আক্রমণ শানিয়েছেন ভারতীয় নেটিজেনরা। তাঁদের দাবি, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের টুইটার অ্যাকাউন্টে মা কালীর অবমাননাকর এবং বিকৃত ছবি পোস্ট করা হয়েছিল। যা চূড়ান্ত নিম্নরুচির। সেইসঙ্গে তাঁরা দাবি করেছেন যে ইউক্রেনকে যেন ভবিষ্যতে কোনওরকম সাহায্য না করে ভারত।

রবিবার টুইটারে একটি স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে দেখা গিয়েছে যে দুটি ছবির কোলাজ পোস্ট করা হয়েছে। কোলাজের একদিকে মেঘের ছবি আছে। অন্যদিকে নেটিজেনদের অভিযোগ, ‘মা কালীর বিকৃত’ ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সঙ্গে মা কালীকে দেখানো হয়েছে বিশেষ একটি পোজে। যা অত্যন্ত অবমাননাকর বলে আক্রমণ শানাতে থাকেন ভারতীয়রা। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, কিছুক্ষণ পরেই ওই ছবিটি মুছে দেওয়া হয়। ততক্ষণে অবশ্য ভাইরাল হয়ে যায় স্ক্রিনশট।

ওই স্ক্রিনশট পোস্ট করে এক নেটিজেন বলেন, ‘দয়া করে এই অবমাননাকর পোস্টটা দেখে রাখুন। যে পোস্টে মা কালীকে খারাপভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামিদিনে যখন রাষ্ট্রসংঘে সাহায্য় এবং সমর্থনের জন্য ভিক্ষা করবে ইউক্রেন, তখন এই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।’ এক নেটিজেন সেই ভাইরাল স্ক্রিনশট পোস্ট করে লেখেন, ‘একদিকে ভারত থেকে সাহায্য চাইছে ইউক্রেন। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বিষয়ক অ্যাকাউন্ট থেকে মা কালীকে অবমাননা করা হচ্ছে। ভারতীয় সংস্কৃতি নিয়ে ঠিক কীরকম ভাবনা আছে ইউক্রেনের!’

একইসুরে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সিনিয়র উপদেষ্টা কাঞ্চন গুপ্তা বলেন, ‘ভারতের থেকে সাহায্য চাইতে সম্প্রতি দিল্লিতে এসেছিলেন ইউক্রেনের উপ-বিদেশমন্ত্রী। সেই মিথ্যাবাদী মুখোশের পিছন থেকে ইউক্রেন সরকারের বাস্তব রূপটা বেরিয়ে এসেছে। একটি প্ররোচনামূলক পোস্টারে মা কালীর ক্যারিকেচার পোস্ট করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সমস্ত হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে।’ অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘দেখে খারাপ লাগছে যে ইউক্রেন এরকম ঘৃণা ছড়ায় এবং বিশ্বের ১০০ কোটির বেশি হিন্দু মানুষকে নিয়ে উপহাস করে। যে দেশ নিজেদের দাবি করে, তারা যুদ্ধের ভারে নুইয়ে পড়েছে, তাদের থেকে এরকম আশা করতে পারছি না।’

বিষয়টি নিয়ে এখনও ভারতের তরফে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। আপাতত দেশে নেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি বা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি আপাতত কোনও মন্তব্য করেননি। নেটিজেনদের দাবি, অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত ভারতের। যাতে ইউক্রেনকে কোনওরকম সাহায্য না করা হয়, সেই দাবি তুলেছেন অনেকে।

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)