Byju Raveendran on FDI: ‘ভারতের যেকোনও স্টার্টআপের থেকে বেশি FDI এনেছি’, ED হানার পর যেন ‘অভিমানী’ বাইজু

বাইজু’স প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও বাইজু রবীন্দ্রনের তিনটি অফিসে গতকালই হানা দিয়েছিলেন ইডি কর্তারা। বাইজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘ফরেন এক্সচঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট’ লঙ্ঘন করেছে তারা। তদন্তকারীদের দাবি, কোম্পানিটি ২০১১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মোট ২৮ হাজার কোটি মূল্যের বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বা এফডিআই পেয়েছে। এদিকে একই সময়ে বিদেশে সরাসরি বিনিয়োগের নামে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছে। এদিকে বিদেশে বিজ্ঞাপনের নামে সংস্থাটি নাকি ৯৪৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছে দেশের বাইরে। তবে কোম্পানিটি ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে তাদের ফিন্যানশিয়াল স্টেমেন্ট তৈরি করেনি এবং অডিটও করায়নি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবার কর্মীদের পাঠানো একটি ইমেলে রবীন্দ্রন লিখলেন, ‘দেশের যেকোনও স্টার্টআপের থেকে বেশি বিদেশি বিনিয়ো এনেছে বাইজু’।

রবীন্দ্রন দাবি করেন যে বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এর আগেও ইডিকে জমা দেওয়া হয়েছিল। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কর্মীদের উদ্দেশে লেখেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রা আইনের প্রযোজ্য সকল নিয়ম মেনে চলার সমস্ত প্রচেষ্টা করেছে বাইজু’স। তদন্তকারীদের এখনও পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করবে সংস্থা।’ যদিও রবীন্দ্রনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এর আগে ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। বাইজু প্রধান বলেন, ‘আমরা ৭০ বিনিয়োগকারীর থেকে অর্থায়ন পেয়ে থাকি। তারা তাদের দিক দিয়ে পুরো নিয়ম মেনে কাজ করেন বলে আমার বিশ্বাস। তারা ফরেন এক্সচঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টও মানেন বলে আমার বিশ্বাস। এই আবহে তদন্তকারীরাও সব কিছু খতিয়ে দেখে এই একই জিনিস উপলব্ধি করবেন বলেই আমি মনে করি।’

এদিকে তদন্তকারী অফিসারদের তরফে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ডিজিটাল ডেটা হাতে এসেছে তাঁদের। সেই সব নথি এবং ডিজিটাল ডেটা ইডির তরফে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের শুরুর থেকেই চাপে পড়েছে বাইজু’স। বিনিয়োগের পরিমাণ কমেছে। এদিকে অনলাইন ক্লাসের চাহিদাও কমেছে। এর আগে দীর্ঘ ১৮ মাসের বিলম্বের পর অবশেষে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের রেজাল্টস প্রকাশ করেছিল বাইজু। তাতে দেখা গিয়েছে, সেই অর্থবর্ষে মোট ৪,৫০০ কোটি টাকার লোকসান করেছে বাইজু’স। দীর্ঘদিন ধরে অডিট না হওয়ায় যেসব ব্যাঙ্ক থেকে বাইজু’স ঋণ নিয়েছে, তারা হিসেব খতিয়ে দেখছে। এইসবের মাঝেই এইসবের মাঝেই বাইজু’স-এর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করা হয় ইডির কাছে। তদন্তে নেমে একাধিকবার বাইজু রবীন্দ্রনকে তলবও করে ইডি। তবে তিনি একবারও ইডির মুখোমুখি হননি।