Dilip Ghosh: ‘‌দেখা যাক পার্টিটা থাকে কিনা’‌, অভিষেকের টার্গেট নিয়ে পাল্টা খোঁচা দিলীপের

তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি থেকে ২০২৬ সালের টার্গেট বেঁধে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ২৪০ আসন পাবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। চোপড়ার জনসভা থেকে অভিষেকের জয়ের টার্গেটকে এবার কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস পার্টিটা থাকবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ।

এদিকে আবদুল করিম ইসলামপুরে অভিষেকের সভায় আমন্ত্রণ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। আর এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‌গোড়া থেকেই বলছি, তৃণমূল কোনও রাজনৈতিক পার্টি নয়। কিছু লোক নিজেদের স্বার্থে একত্রিত হয়েছে। তারাই দলকে টাকা তুলে দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য একসময়ে যাদের নিয়ে দল শুরু করেছিলেন, দলে এখন তাদেরই কোনও গুরুত্ব নেই। সিনিয়র লিডাররা হতাশায় ভুগছেন। যত ফালতু লোক, তারাই ছড়ি ঘোরাচ্ছে। কারণ তারাই টাকা তুলে দিচ্ছে। পুলিশ আর গুন্ডা ছাড়া ওই পার্টি চলবে না। কোনও ভদ্রলোক ওখানে থাকতে পারবে না। আবদুল করিমকে কে বলেছিল তৃণমূল কংগ্রেসে যেতে? উনি বিজেপির সঙ্গেও হাত মেলাতে চেয়েছিলেন। ক্ষমতাও চাই, পদ চাই, আবার স্বাধীনতাও চাই। সব হয় না। ওই পার্টিতে থাকতে গেলে ওভাবেই থাকতে হবে।’‌

অন্যদিকে আজ, সোমবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধনা করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‌ওদের এক মন্ত্রী বলেছেন, ডিএ দিতে গেলে সরকার সমস্যায় পড়বে। সরকার দিল্লি থেকে যে টাকা পাচ্ছে সেটা যাচ্ছে কোথায়? কোনও হিসেব নেই। লুঠের রাজ চলছে। দেবের ভাই বলে খবরটা হয়েছে। এরকম হাজার হাজার লোকের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। কে অধিকার দিয়েছে ওদের?’‌

অভিষেক নিয়ে কেমন আক্রমণ দিলীপের?‌ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২৪০টি আসন পাবে বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘‌আগে পঞ্চায়েত জিতুক। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন জিতুক। তারপর দেখা যাক পার্টিটা থাকে কিনা। আগেরবার এক ডজন হারিয়েছে। এবার যদি আরও এক ডজন হারায়, তাহলে আগে পার্টি থাকবে কিনা সেটা দেখুক। ওনার পিছনে চারটে লোক নেই। উনি এক কোটির গল্প দিচ্ছেন। উনি দেখে নিয়েছেন উত্তরবঙ্গে দলের কি অবস্থা। নিজের পার্টির লোককে সামলাতে পারছেন না। দলীয় স্তরে নির্বাচন করতে পারছেন না। তার আবার বড় বড় কথা।’‌