Sutapa Pal: বান্ধবীকে ছাড়া থাকতে পারছেন না কেষ্ট কন্যা সুকন্যা, মন কাঁদছে দুজনেরই, জেনে নিন কে এই সুতপা?

অনুব্রত মণ্ডলের কন্য়া সুকন্যা মণ্ডল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছে সুকন্যাকে। এদিকে তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকাকালীন একদিকে যেমন বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য সুকন্য়া কান্নাকাটি করছিলেন তেমনি তার এক বান্ধবীর কথা সুকন্যা বার বার বলছিলেন। এদিকে সেই বান্ধবীও ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন আমাকেও গ্রেফতার করা হোক।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সুকন্যা যখন বীরভূমের বাড়িতে একলা থাকতেন তখনও সেই বান্ধবীই ছিলেন তার ছায়াসঙ্গী। কিন্তু সেই বান্ধবী অর্থাৎ সুতপা পাল আসলে কে?

সূত্রের খবর, বাস্তবিকই কেষ্ট কন্যার একেবারে প্রাণের বান্ধবী সুতপা। বোলপুর গার্লস হাইস্কুলে পড়াশোনা করার সময় থেকেই সুতপার সঙ্গে সুকন্যার পরিচয়। তারপর থেকেই তাদের বন্ধুত্ব। তারপর থেকেই সেই বন্ধুত্ব গভীর হয়েছিল তাদের। সুতপার আপদে বিপদে সবসময় পাশে থাকেন সুকন্যা। অন্যদিকে সুকন্যা যখন বাড়িতে ভীষণরকম একলা তখনও সুতপার সবথেকে কাছের মানুষ হিসাবে যিনি ওই বাড়িতেই বেশিরভাগ সময় থাকতেন তিনি আর কেউ নন সুতপা পাল।

বাড়ি বোলপুরের বাঁধগোড়া। বাবা দুর্গাপ্রসাদ পাল অসুস্থ। তিনি কার্যত শয্যাশায়ী। দুর্গাপ্রসাদবাবুর একসময় মিষ্টির দোকান ছিল। সেটা পরে বন্ধ হয়ে যায়। কষ্টে সংসার চলত তাদের। পরবর্তীতে তিনি লটারি বিক্রি করতেন। কিন্তু পরে সেটাও আর পারতেন না। তবে সবথেকে বড় কথা সুতপা নিজেও ক্যানসারে আক্রান্ত বলে খবর। কিন্তু কখনও বন্ধুর পাশ থেকে সরে আসেননি সুকন্যা। বান্ধবীর চিকিৎসার খরচও বহন করতেন সুকন্যা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, মেয়ের কথায় অসহায় পরিবারের পাশে থাকতেন কেষ্ট মণ্ডল নিজেও। অন্যদিকে ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি মারা যান সুকন্যার মা। সেই সময় পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন সুতপা পাল। অসুস্থ শরীরেও বান্ধবীর পাশে ছিলেন সুতপা। আর সুকন্যা যখন ইডির হেফাজতে তখনও সুকন্যার কথা ভেবে কেঁদেছেন সুতপা। তিনি বলেছেন, ওর পাশে কেউ নেই। আমাকেও গ্রেফতার করুক ইডি। আমি আর কী সাহায্য করতে পারব? আমি নিজের চিকিৎসাই তো চালাতে পারব না।

কার্যত দুজনে দুজনের অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। এমনকী সুতপা বিভিন্ন সময় সুকন্যার বাড়িতেই থাকতেন। সুতপার বিপদে আপদে যেমন পাশে থাকতেন সুকন্যা। তেমনি সুকন্যার পাশেও সবসময় থেকেছেন সুতপা। স্কুল জীবনের বান্ধবী কার্যত মণ্ডল পরিবারের একজন হয়ে গিয়েছিলেন। মায়ের মৃত্যুর পরে যেন আরও বেশি করে বান্ধবীকে আঁকড়ে ধরেছিলেন সুকন্যা। এখন মন কাঁদছে দুজনেরই।