সিবিআইয়ের কাছে বকেয়া টাকা চাইল রাজ্য পুলিশ, সিজিও কমপ্লেক্সে গেল চিঠি

সিবিআই এই রাজ্যে এখন দাপট দেখাচ্ছে। নানা মামলার তদন্ত করছে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। তার জেরে নেতা–মন্ত্রীর বাড়ি গিয়ে তল্লাশি থেকে শুরু করে গ্রেফতার করা পর্যন্ত সবই করছেন তদন্তকারীরা। এবার এই সিবিআইকেই পাল্টা প্যাঁচে ফেলে দিল রাজ্য পুলিশ। সিবিআইয়ের নানা মামলার তদন্ত চালাতে গিয়ে মালখানা পাহারার টাকা বাকি রয়ে গিয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছ থেকে সেই প্রাপ্য বকেয়া চাইল রাজ্য। কয়েকদিন আগেই রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠিয়ে এই বকেয়া টাকা চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এমনকী পাওনা মেটানোর জন্য তোড়জোড় শুরুও করেছে সিবিআই।

এদিকে এই রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি, চিটফান্ড, গরু এবং কয়লা পাচার–সহ নানা আর্থিক অনিয়মের মতো গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। তাই রাজ্যের নানা জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত হচ্ছে বিপুল পরিমাণ নথি। যা তদন্তের স্বার্থে কাজে লাগবে। প্রমাণ দিতে আদালতে এই নথিগুলি নিয়ে যেতে হচ্ছে। একটি নথি হারিয়ে গেলে মামলার পটভূমি পরিবর্তন হয়ে যাবে। তাই এই নথি–কাগজ রাখা থাকে সিবিআইয়ের মালখানায়। যেখানে উপযুক্ত এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দিতে হয় রাজ্য পুলিশকে।

অন্যদিকে রাজ্য পুলিশ এই মালখানার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকায় মশা গলতে পারে না। নথিপত্রের আঁটোসাঁটো সুরক্ষা দিতেই রাজ্য পুলিশকে মালখানার নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া আছে। এখানে বন্দুক ধারি পুলিশ থাকে নিরাপত্তার স্বার্থে। মালখানার সামনে সব সময় মোতায়েন থাকেন তাঁরা। দিনরাত সুরক্ষা দেন তাঁরা। সূত্রের খবর, প্রতি শিফটে অন্তত দশজন পুলিশ কর্মী রাখা হয়। এই দায়িত্ব মাসের পর মাস ধরে সামলে আসছে রাজ্য পুলিশ। সুতরাং এই বাবদ একটা টাকা দিতে হয়। যা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রেখে দিয়েছে সিবিআই।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সিবিআইয়ের মালখানার নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে ‘‌ফি’‌ দিতে হয়। পুলিশের সংখ্যার নিরিখে টাকা ধার্য হয়। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তাদের প্রাপ্য বকেয়া রেখে দিয়েছে সিবিআই। যার পরিমাণ ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এমনকী নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও এই টাকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তাই এবার রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। যেখানে সিবিআই দফতর। সেই চিঠিতে টাকা দ্রুত মেটানোর কথা বলা হয়েছে। এই চিঠি পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে সিবিআই কর্তারা। এই বিষয়টি নিয়ে সিবিআই কর্তারা দিল্লির সদর দফতরে ফোন করেছেন। দ্রুত টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তখনই মিটিয়ে দেওয়া হবে বকেয়া।