B.Ed course: বিএড কোর্সে বাসিন্দাদের জন্য ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ, আপত্তির কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট

বিএড কোর্সে বাসিন্দাদের জন্য ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। এবার প্রায় মাস দুয়েক ধরে এনিয়ে যাবতীয় তথ্য় খতিয়ে দেখেছে দেশের শীর্ষ আদালত আদালত। এরপর ২৮ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট মধ্যপ্রদেশ সরকারকে জানিয়েছে, বিএড কোর্সে ৭৫ শতাংশ ডোমিসাইল কোটার বিষয়টি আবার পুনর্বিবেচনা করুন।

বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ জানিয়েছে, এটা আমরা খুব পরিষ্কার ভাবে বলে দিতে চাই যে ওই এলাকায় বসবাসকারীদের জন্য সংরক্ষণ এটা অনুমোদন যোগ্য, কিন্তু সমস্ত আসনের ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ মানে তো একেবারে হোলসেল রিজার্ভেশন। এটা অসাংবিধানিক ও ভারতের সংবিধানের আর্টিকেল ১৪র বিরোধী। বিচারপতিদের এই পর্যবেক্ষণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

এদিকে মধ্য়প্রদেশের স্টেট পলিসি অনুসারে মধ্য়প্রদেশ সরকার তাদের রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য বিএড আসন ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ করে রেখেছে। আর মাত্র ২৫ শতাংশ আসন অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের জন্য় খোলা রাখা হয়েছে।

এনিয়ে এবার আদালতের বিশেষ পর্যবেক্ষণ। কার্যত এনিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছে আদালত। আদালতের বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে,গত কয়েকবছরের তথ্যগুলি রাজ্য সরকার একবার খতিয়ে দেখুক। এই ধরনের সংরক্ষণের বাস্তবতাটা ঠিক কী আছে এটা বোঝা যাবে। এই ধরনের হোলসেল রিজার্ভেশন এটা কোনও উদ্দেশ্যকে সাধিত করে না। এটা আদতে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যকেই নষ্ট করে দেয়।

সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে এই কোটার ব্যাপারে বাস্তবিক পরিস্থিতিটা ঠিক কী রয়েছে সেটা দেখা দরকার। না হলে এতে সমস্যা হতে পারে। বেঞ্চ জানিয়েছে, মধ্যপ্রদেশ সরকার যে ৭৫ শতাংশ আসন সংরক্ষণের কাজ করছে তা শতাংশের দিক থেকে অনেকটাই বেশি। গত দু বছরের যে পরিসংখ্যান তাতে দেখা যাচ্ছে এটা বাস্তবে কোনও উদ্দেশ্য কোনও সাধিত করছে না।

সেই সঙ্গেই আদালত জানিয়েছে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আগে আমরা এই ব্যাপারে একেবারেই বিরত ছিলাম। গোটা বিষয়টি ফের বিবেচনার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এদিকে এবার মধ্যপ্রদেশ সরকার ঠিক কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার। তবে আদালত জানিয়েছে এই ধরনের ৭৫ শতাংশ সংরক্ষণ বাস্তবে কাজের কাজ কিছু করে না।