নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়ার। সারা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি স্থান বললেও কম বলা হয়। আলোর বন্যা এর অন্যতম আকর্ষণ। পাশাপাশি তামাম বিশ্বের পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় স্থানও বটে। এবার সেই টাইমস স্কোয়ারেই আয়োজিত হয়েছিল নববর্ষ অনুষ্ঠানের। প্রবাসী বাঙালিরা মিলে সেই আয়োজন করেন। ১৪ এপ্রিল, বাঙালি হিসেবে চৈত্র সংক্রান্তির রাতে এই আয়োজনে সামিল হন প্রবাসী বাঙালিরা। সত্যজিৎ রায়ের গান গেয়ে বরণ করে নেন ১৪৩০ সালকে। ২ মে সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনলেন অনুষ্ঠানটির প্রধান উদ্যোক্তা। রায়বাবুর জন্মদিনের সকালে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করা হয় সেই ভিডিয়ো। পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় প্রবাসী বাঙালিদের এই প্রাণবন্ত উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: সত্যজিৎ রায়ের সম্পর্কে এই তথ্যগুলি অনেকেই জানেন না, দেখে নিন একঝলকে
আরও পড়ুন: ডায়াবিটিস থেকে ওজন কমানো, আদার গুণে কী কী থেকে মু্ক্তি পাবেন জানুন
সত্যজিৎ রায়ের‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’সিনেমার ‘আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে’ গানটিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল এই দিন। এই গানেই উদযাপিত হয় নববর্ষের আয়োজন। ভিডিয়োতে দেখা যায়, পুরোদস্তুর বাঙালি সংস্কৃতি মেনে আয়োজন করা হয়েছে অনু্ষ্ঠানের। লাল পাড় সাদা শাড়িতে টাইমস স্কোয়ারের আলোর নিচে জড়ো হয়েছিল বাংলার নারীরা। সমবেতভাবে গান গাইছেন সকলে। মাঝের বেশ কিছুটা জায়গা ফাঁকা রেখে গোল হয়ে বসেছেন সবাই। গোল জায়গায় একজন পুরো গানের অনুষ্ঠানকে নির্দেশ দিচ্ছেন। তিনি নিজেও মাঝে মাঝে তাল মেলাচ্ছেন গানের তালে তালে।
অনুষ্ঠানে বাঙালির সংস্কৃতির পরিচায়ক হিসেবে দেখা যায় গ্রাম বাংলার পরিচিত মুখোশ। এমনকী গানের সঙ্গতে ছিল বাঙালির ঘরে ঘরে পরিচিত বাদ্য কাঁসাও। ছিল তবলা, হারমোনিয়াম, এমনকী ঢোলও। আবার ছিল বাংলাদেশের পতাকা হাতেও দেখা যায় একজনকে। কারণ বাংলা মানেই সেই আদি অকৃত্রিম অবিভক্ত বাংলার আত্মা। ভিডিয়োটি পোস্ট করার পরে পরেই প্রচুর লাইক পেতে শুরু করে। সত্যজিতের জন্মদিনে এমন একটি উপহার পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত নেটিজেনরাও। কমেন্টে নিজের ভালোলাগার কথাও জানান তাঁরা। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা নববর্ষ উপলক্ষে এমন একটা পরিকল্পনা করেছেন বলে তাঁর প্রশংসাতেও মেতে ওঠেন অনেকে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup