আয়কর ফাঁকি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ, কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ি-ব্যবসায় ইডি-র হানা

সাতসকালে রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান কৃষ্ণকল্যাণীর বাড়িতে হানা দিল ইডি। বাড়ির সঙ্গে একযোগে তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়, তাঁর বাইকের শো রুম, কল্যাণী সলভেন্ট, ওয়া বাজার-সহ তাঁর সমস্ত প্রতিষ্ঠানে হানা দেয় ইডি-র একটি বড় দল।

এ দিন সকালে বিধায়কের বাড়ি ঘিরে ফেলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন বিধায়ক। তাঁকে বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর তথা বিধায়কের ভাই প্রদীপ কল্যাণী বলেন, ‘আচমকাই বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা ঢুকে পড়ে। বাড়ি থেকে কাউকে বের হতে দিচ্ছে না। বাড়ির কারও সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবে এই কাজ করছে ইডি।’

সূত্রের খবর, আয়কর ফাঁকি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগেই বিধায়কের বাড়িও অন্যান্য ব্যবসায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। বিধায়কের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক বার কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে।

(পড়তে পারেন। দণ্ডিকাণ্ডে অভিষেকের কড়া বার্তা, ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পুরসভার পদও গেল প্রদীপ্তার)

গত বিধানসভা ভোটের আগে কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপিতে যোগ দেন। তিনি গেরুয়া শিবিরে থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ নিয়ে সরব হন তৃণমূল নেতা কানাইলাল আগরওয়াল। এমন কী তিনি এই অভিযোগ নিয়ে জেলাশাসকেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ভোটের পর ফের তৃণমূলে ফেরেন কৃষ্ণ কল্যাণী। আপত্তি করেন কানাইলাল আগরওয়াল। গত বছর প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর কৃষ্ণকল্যাণীকে তলব করে ইডি।

তাঁর বিরুদ্ধে চার বছর আগে দু’টি টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়া নিয়ে অনিয়মেরও অভিযোগ উঠেছে। ২০০২ সালে বেআইনি অর্থ লেনদেন প্রতিরোধ আইনের ৫০ নম্বর ধারায় কৃষ্ণ কল্যাণীকে নোটিস পাঠায় ইডি।

শারীরিক অসুস্থতার কারণে পিএসি-র চেয়ারম্যান পদ সরে দাঁড়ান মুকুল রায়। তার পর গতবছরের ৩০ জুন কৃষ্ণ কল্যাণীকে চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত করা হয়।