Enforcement Directorate: শান্তনুর কীর্তি, চাকরি দেওয়ার নামে তুলেছিলেন ১ কোটি ৪০ লাখ, বিস্ফোরক দাবি ইডির

হুগলি তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এবার তার সম্পর্কে বিস্ফোরক অভিযোগ আদালতে পেশ করল ইডি। চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে বিপুল অঙ্কের লেনদেন করা হয়েছে বলে দাবি ইডির। এনিয়ে তালিকাও আদালতে পেশ করেছে ইডি। আদালতে ইডির আইনজীবী দাবি করেছেন, ২৬জন চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে শান্তনুর সঙ্গে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল। কার্যত চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন তৃণমূলের তৎকালীন ওই নেতা।

গত ১০ মার্চ গ্রেফতার হয়েছিল শান্তনু। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন দফতরের কর্মী ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে তাঁর এত প্রতিপত্তি হল কীভাবে? তদন্তকারীদের দাবি, বিপুল অঙ্কের অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শান্তনু। এর আগেই শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৩০০জনের তালিকা পেয়েছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। তবে কুন্তলের আইনজীবীর দাবি, শান্তনু এত বোকা নন যে চারদিকে যখন নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তল্লাশি চলছে তখন তিনি বাড়িতে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি রেখে দেবেন।

এদিকে আগেই দেখা গিয়েছিল কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু ঘোষের মধ্য়ে ঘনিষ্ঠতা ছিল। রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ার নাম করে বিপুল অঙ্কের টাকা তোলার অভিযোগ দুজনের বিরুদ্ধেই। এবার তদন্তে নেমে শান্তনুর সম্পর্কে বিস্ফোরক কিছু তথ্য় পেয়েছে ইডি। সেই তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে মূলত প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে এই বিপুল অঙ্ক নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। আর তার মূল পাণ্ডা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইডির তদন্তকারীদের দাবি অত্যন্ত সুকৌশলে চাকরি দুর্নীতির টাকা সরানোর কাজ করতেন শান্তনু। সহজে সেই দুর্নীতি ধরা পড়বে না। তিনি দিনমজুরদের মজুরি দেওয়ার জন্য একটি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট খুলেছিলেন। সেখানে চেকবইতে দিনমজুরদের সই করিয়ে রেখেছিলেন। আর এটাও ছিল শান্তনু টাকা সরানোর অন্যতম পথ। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি।

তিনি একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে প্রভাব খাটিয়ে কাজ দেওয়ার কাজ করতেন। বাস্তবে সেটাও ছিল ছক। আসলে সেখানে কাজ দেওয়ার নাম করে তিনি বিপুল অঙ্কের টাকা নয়ছয় করতেন বলে অভিযোগ।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup