মস্তিষ্কই মানুষকে আলাদা করেছে পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীদের থেকে। সেই মস্তিষ্ক তাই বিজ্ঞানেরও একটা বড় কৌতুহলের জায়গা। সারা বিশ্ব জুড়ে স্নায়ুবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা নানারকম পরীক্ষানিরীক্ষা করে চলেছেন শরীরের এই বিশেষ অঙ্গ নিয়ে। কীভাবে এটি বিভিন্ন উত্তেজনা উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। কীভাবেই বা হয়ে ওঠে আমাদের তাবৎ সব শারীরিক কাজকর্ম। তেমনই একটি বড় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হল মৃত্যুর সময় ও তারপর মস্তিষ্কের কাজকর্ম। সম্প্রতি এ নিয়ে তেমনই একটি গবেষণা জায়গা করে নিল খবরের শিরোনামে। মৃত্যুর ঠিক আগে মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে তার এক রহস্যময় ইঙ্গিত পাওয়া গেল। প্রায় মৃত্যুর মুখে থাকা দুই ব্যক্তির মস্তিষ্কে এমনই রহস্যময় প্রক্রিয়া দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। রহস্যময় বলার কারণও রয়েছে। ঠিক ওই মুহূর্তে মস্তিষ্কে যা হচ্ছে, তা কেন হচ্ছে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: সঙ্গী মনের কথা বোঝে না কিছুতেই? এই ‘সঙ্গী’ কিন্তু মুখ দেখেই বলে দেবে মনের কথা
আরও পড়ুন: কালচে হয়ে যাচ্ছে ঠাকুরের বাসনকোসন? ঝকঝকে রাখার সেরা উপায়টা জানেন কি
মৃত্যুর শেষতম মুহূর্তে যখন মস্তিষ্ক ও বাকি শরীর কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তখন ঠিক কী কী ঘটে? বিজ্ঞানীদের গবেষণার গোড়ায় প্রশ্ন ছিল এটাই। এর আগে প্রাণীদের মধ্যেও এমন পরীক্ষা করা হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, মৃত্যুর ঠিক আগে গামা তরঙ্গের আনাগোনা বেড়ে যায় ঘিলুর ভিতর। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা রেসপিরেটরি অ্যারেস্ট হওয়ার আগের মুহূর্তে এই ঘটনা ঘটতে শুরু করে। ঠিক এমনই একটি প্রক্রিয়ার খোঁজ মিলেছে মানুষের মস্তিষ্কে। দেখা গিয়েছে জ্ঞান থাকার মুহুর্তে গামা তরঙ্গ স্মৃতিগুলিকে নানা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে পাঠায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে মেমোরি প্রসেসিং।
ঠিক কী কী ঘটছে ওই মুহূর্তে মস্তিষ্কের ভিতর? তা স্পষ্ট করে বোঝার জন্য মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাম (ইইজি) ও ইলেক্ট্রোকার্ডিয়োগ্রামের (ইসিজি) সাহায্য নেন। এই দুটি পদ্ধতির সাহায্যে ভেন্টিলেশনে থাকা চার রোগীর প্রথম দফায় একটি রিডিং নেওয়া হয়। এরপর ভেন্টিলেশন সাপোর্ট তুলে দিয়ে নেওয়া হয় পরের দফার রিডিং। এই দুই রিডিংয়ের ভিত্তিতেই মেলে রহস্যময় ফলাফল। দেখা যায়, গামা তরঙ্গের চলাচল বেড়ে গিয়েছে দুজনের মধ্যে। এর উপরে ভিত্তি করে আগামী গবেষণা করা হবে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup