Malda: ‘সব জানিয়েছি দলকে,’ মমতা-অভিষেক মালদায়, তার মধ্যেই বোমা ফাটালেন মৌসম

মৌসম বেনজির নুর। একটা সময় কংগ্রেসে ছিলেন। পরে তিনিই চলে আসেন তৃণমূলে। এবার সেই মৌসমই কার্যত দলের অন্দরের দ্বন্দ্ব, ক্ষোভ, অভিমান নিয়ে মুখ খুললেন। আর সেটা এমন সময় যখন জেলায় রয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি জানিয়েছেন, আমার যেটা মনে হয়েছে আমি বলেছি। আজকে আমি হয়তো জেলা সভাপতি না থাকতে পারি। কিন্তু আমি তৃণমূলের একজন কর্মী। কর্মী হিসাবে আমি দলের সবসময় ভালোই চাইব। সে কারণে আমার যা যা মতামত সব দলকে জানিয়েছি। বহু কর্মী আমায় ফোন করেছিলেন। আমি আগেও বলেছি। আজও বলব যাঁরা বসে আছেন তাদের আরও কাছে নিয়ে নেওয়া উচিত। কারণ তৃণমূল হল সেই দল যে দল সকলকে নিয়ে চলে। বিভিন্ন জায়গা থেকে, বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে লোক এসেছে। অনেক আশা নিয়ে এসেছে। সবাইকে সুযোগ দেওয়া উচিত। যারা সুযোগ পাচ্ছেন না তাঁদেরও কাছে টেনে নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।

মৌসমের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। এদিকে মৌসম জানিয়েছেন, বহু তৃণমূলের নেতা কর্মীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। ক্ষোভ, অসন্তোষ রয়েছে ব্লকে ব্লকে। তাঁদেরও বিভিন্ন কাজে যুক্ত করতে হবে। নিয়ে আসতে হবে।

পিছিয়ে পড়া, বসে যাওয়া, নিস্ক্রিয় দলীয় কর্মীদের ফের সামনের দিকে নিয়ে আসার জন্য আহ্বান মৌসমের। মনের কথা তিনি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তার সঙ্গেই তাঁর আশঙ্কা হয়তো জেলা সভাপতির চেয়ারে তিনি আর নাও থাকতে পারেন।

মালদায় কার্যত কংগ্রেসে গড়ে ভাঙন ধরিয়ে তৃণমূল তার শক্তি বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মালদায় তৃণমূলের অন্দরে আদি ও নব্যের দ্বন্দ্ব মারাত্মক। এমনকী দ্বন্দ্ব এমন জায়গায় গিয়েছে যে একাধিকবার দেখা গিয়েছে জেলাস্তরের নেতা নেত্রীরাও প্রকাশ্যে কাদা ছুঁড়ছেন একে অপরকে কেন্দ্র করে। যার মাসুলও গুনতে হয়েছে দলকে। তবে কি পঞ্চায়েতের মুখে সেই অন্তর্ঘাতেকরই আশঙ্কা করছেন মৌসম? তার জেরেই এবার দলের অন্দরের ক্ষোভ, অভিমান নিয়ে দুশ্চিন্তার সুর তাঁর গলায়।

এদিকে এদিন জনজোয়ার কর্মসূচিতে কার্যত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির সামনেও তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের একাংশ।