সৌরজগতের বাইরেও রয়েছে আরও অনেক নক্ষত্র। এবার তেমনই একটি নক্ষত্র থেকে ধোঁয়াটে খবর পেল নাসা। সৌরজগতের বাইরে যেধরনের নক্ষত্র দেখা যায়, তার মধ্যে লাল রঙের বামন নক্ষত্র অনেক বেশি। এই ধরনের নক্ষত্র সূর্যের মতো ফুটছে না, বরং শান্ত। তবে এগুলোর চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে পাথুরে গ্ৰহ। যেহেতু বামন নক্ষত্রগুলির ঠান্ডা, তাই এর চারপাশে ঘোরা পাথুরে গ্ৰহগুলি বেশ আঁটোসাঁটো ভাবে রয়েছে। এমন গ্ৰহে জল থাকতে হলে এদের ভীষণভাবে উত্তপ্ত থাকতে হবে। তবেই তৈরি হবে একটি বাসযোগ্য এলাকা। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এখান থেকেই খুঁজে চলেছেন একটি প্রশ্নের উত্তর। এই ভীষণ গরম আর ভীষণ ঠান্ডার মাঝে কি একটা গ্ৰহ বাসযোগ্য হতে পারে?
আরও পড়ুন: সঙ্গী মনের কথা বোঝে না কিছুতেই? এই ‘সঙ্গী’ কিন্তু মুখ দেখেই বলে দেবে মনের কথা
আরও পড়ুন: কালচে হয়ে যাচ্ছে ঠাকুরের বাসনকোসন? ঝকঝকে রাখার সেরা উপায়টা জানেন কি
এর উত্তর খুঁজতেই নাসার বিজ্ঞানীরা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপকে কাজে লাগাচ্ছেন। সম্প্রতি পাথুরে গ্ৰহ জিজে৪৮৬বি-কে পর্যবেক্ষণ করছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেই সময়েই চোখে ধরা দেয় এক অবাক করা কান্ড। জলীয় বাষ্পের দেখা মেলে ওই গ্ৰহের কাছেই। প্রসঙ্গত এই গ্ৰহটি তার নক্ষত্রের খুব কাছাকাছি রয়েছে। তাই এর বাসযোগ্য এলাকা হয়ে ওঠার গুণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে এর উষ্ণতা ৮০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নাসা ওয়েবের নিয়ার ইনফ্রারেড স্পেকটোগ্রাফের (এনআইআরএসপিইসি) সাহায্যে দেখা গিয়েছে, এই গ্ৰহের গায়েই রয়েছে জলীয় বাষ্প। বিজ্ঞানীদের কথায়, জলীয় বাষ্প দেখা অস্বাভাবিক নয়। এর আগেও দেখা গিয়েছে এমন। কিন্তু এইবারে পাথুরে গ্ৰহটির চারপাশে একটা বায়ুমন্ডলেরও দেখা মিলেছে। যা আগে কখনও হয়নি। তবে এই জলীয় বাষ্প আদৌ ওই গ্ৰহের না নক্ষত্রটির তা নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে। বিজ্ঞানীদের একাংশের কথায়, নক্ষত্র শীতল বলে ওর কুল স্টার স্পটও হতে পারে এই জলীয় বাষ্প। তবে এই নিয়ে আরও পর্যবেক্ষণের দরকার আছে বলে জানাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। পর্যবেক্ষণেই স্পষ্ট হবে জলীয় বাষ্প কার, আর বায়ুমন্ডলটাই বা কার।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup