Royal Bengal Tiger: গাড়ি থেকে উদ্ধার বাঘের চামড়া, গ্রেফতার ডাক্তারবাবুর ছেলে, কাদের কাছে পাচারের চেষ্টা?

প্রসূন কে মিশ্র

গয়া থেকে উদ্ধার করা হল একটি পূর্ণবয়স্ক রয়াল বেঙ্গল টাইগারের চামড়া। বিহার বনদফতরের ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো ও পুলিশ এই বাঘের চামড়া বাজেয়াপ্ত করেছে।

ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার গয়া রাজীব রঞ্জন পুলিশ, ডিআইইউ, এসএসবি ও ডব্লিউসিসিবির আধিকারিকদের নিয়ে এই তল্লাশিতে নেমেছিলেন। একটি চারচাকা গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এই বাঘের চামড়াটি। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার তেকারি এলাকা থেকে দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল পাচারকারীদের মধ্যে একজন এক চিকিৎসকের ছেলে। পাচারে জড়িয়ে পড়েছিল সে।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে বিদেশি পর্যটকদের হাতে এই বাঘের চামড়া তুলে দেওয়ার ছক কষেছিল পাচারকারীরা। উত্তর ও উত্তর পূর্বের দেশ থেকে প্রচুর পর্যটক গয়াতে বেড়াতে আসেন। তাদের হাতে এই বাঘের চামড়া ও দেহের অবশিষ্ট অংশ চড়া দামে বিক্রি করার ছক কষেছিল পাচারকারীরা। কিন্তু বাঘের চামড়া ও দেহের অবশিষ্ট অংশের এত চাহিদা কেন?

আসলে কিছু জায়গায় বিশ্বাস করা হয় বাঘের চামড়া ও অবশিষ্ট অংশ দিয়ে বয়স ধরে রাখা যায় ও যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়। তবে সেই ৮০র দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে এই বাঘের চামড়া ও দেহের অবশিষ্ট অংশের জন্য় বাঘ মারার চেষ্টা করা হত। তবে বাঘকে বিপন্ন প্রাণী হিসাবে গণ্য করা হয়। বাঘ মারলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। ৫০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলেন বন দফতরের আধিকারিকরা। এরপরই তারা অভিযানে নামেন। এরপর তেকারি ব্লক এলাকায় একটি গাড়িকে চিহ্নিত করা হয়। সেই গাড়িতে তাড়া করে ধরে ফেলেন বন দফতরের আধিকারিকরা। ওই গাড়িতে একটি কালো ব্যাগের মধ্যে রাখা ছিল বাঘের চামড়াটি। এটি পূর্ণবয়স্ক বাঘের চামড়া। দশ বছরের পুরানো বলে মনে করা হচ্ছে।

ধৃতদের নাম অভিনব আনন্দ। বাবার নাম ডাঃ পিএন চৌধুরী। অপরজন কুন্দন কুমার। তারা স্বীকার করেছে জামশেদপুরের এক মহিলার কাছ থেকে তারা এগুলি পেয়েছে।