‘‌সব বিরোধী দল এক হয়ে যান’‌, সামশেরগঞ্জ থেকে মোদী হটানোর ডাক মমতার

আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলগুলিকে একছাতার তলায় নিয়ে আসার ডাক দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার এই কাজ করতে এক বছর আগে থেকেই বিরোধী ঐক্যের বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই ঐক্য গড়ে উঠলেই মোদী সরকারকে নয়াদিল্লি থেকে হটানো সম্ভব। আজ, শুক্রবার মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করার সময়ই বিরোধী ঐক্য গড়ার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের আগ্রাসী মনোভাব ঠেকাতে দেশের সব বিজেপি বিরোধী দলকে এক সুতোয় বাঁধার আহ্বান করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

এদিকে আজকের সভা থেকে মমতার অভিযোগ, রামের নামে দেশকে ভাগ করছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে বিরোধীদের কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে। সেটা ঠেকাতে বিরোধীদের একত্রিত হওয়াটা প্রচণ্ড জরুরি বলে বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তিনি বলেন, ‘‌সব বিরোধী দল এক হয়ে যান। ওয়ান টু ওয়ান ফাইট হোক। চেষ্টা করব একসঙ্গে কাজ করার। এভাবে দেশকে ভাগ করবেন না। রামের নাম বদনাম করবেন না। এজেন্সি ব্যবহার করে ভোট পাওয়া যাবে না। আমি শুধু ভোটের আগে বলব, সব বিরোধী রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে যান, একের বিরুদ্ধে এক লড়াই করুন। যে যেখানে শক্তিশালী, সে সেখানে লড়াই করুন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’‌

অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তার পর থেকে নতুন করে বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে নয়াদিল্লিতে গিয়ে বিজেপি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন। তখন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিষয়টি সফল হয়নি। তবে তার পর সময় যতই গড়িয়েছে কংগ্রেস ততই উপলব্ধি করেছে কেন্দ্রে মোদী সরকার থাকলে বিরোধীদের উপর আক্রমণ নেমে আসবেই। আর এটা যখন কংগ্রেস বুঝল তখন রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ চলে গিয়েছে।

আর কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?‌ এই ঘটনার পর রাহুল গান্ধীর পাশেই দাঁড়িয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দূত পাঠাবেন। যদিও এখনও তা পাঠিয়ে উঠতে পারেননি। তবে ইতিমধ্যেই কেসি আরের সঙ্গে কথা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কুমারস্বামী, অখিলেশ যাদব এবং নীতীশ কুমার এসে দেখা করে গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এমনকী নিজে গিয়ে দেখা করে এসেছেন নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে। আর আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা থেকে বলেন, ‘‌বিজেপির দু’টি কাজ। একটা বলে ‘থোক দো’। যেমন এনআরসি নিয়ে আপনারা দেখেছেন, বিলকিস নিয়ে কী করেছে, আপনারা দেখেছেন। দুই, কেন্দ্রীয় এজেন্সি পাঠিয়ে বলে ধামাকা করে দাও। যখন ইডি–সিবিআই কিছু পায় না তখন বলে ধামাকা করে বদনাম করে দাও।’‌